এই ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার এবং স্থানীয়রা। মৃতের নাম সেখ শাহ আলম (২৬)।
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, তমলুক পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই সেতুটি অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে মেরামতির অভাবে সেতুটি জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। সেটি মেরামত করার জন্য স্থানীয়রা বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, যেকোনও দিন সেতু ভেঙে যেতে পারে। অবশেষে গত পাঁচ দিন আগে থেকে সেতু মেরামতির কাজ শুরু হয়। বুধবার কাজ চলাকালীন ঘটে বিপত্তি। বেলা ১২ টা নাগাদ সংস্কারের কাজ চলার সময় সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। সেই সংস্কারের সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন শাহ আলম এবং নাসিরুদ্দিন। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করে উদ্ধারকারী দল। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নাসিরুদ্দিনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় শাহ আলমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে
তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব বলেন, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম দিকে জলকল মেশিন আনা হয়নি। জলকল মেশিন আনা হলে সেই ক্ষেত্রে এই বিপর্যয় ঘটত না। ইঞ্জিনিয়াররা প্রথম থেকে সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে, আরও এক শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মৃতের শ্বশুর শেখ শাহরিয়া বলেন, '৫ ঘণ্টা আটকে ছিল শাহ আলম। গোটা সময়টা ও বেঁচেই ছিল। উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার সময় ওর মৃত্যু হয়।' ঘটনার খবর পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী ঘটনাস্থলে যান। তিনি মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন।
No comments:
Post a Comment