সেই সময়ই মনে করা হচ্ছিল, রানাঘাট কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। তিনি মতুয়া মুখ হিসেবে পরিচিত। এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে তরুণ এই ডাক্তারবাবুর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে সামনে রেখে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল তৃণমূল, তা বলাই বাহুল্য।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রথম পছন্দ ছিলেন মুকুটমণি। সেই সময় তিনি দাপিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে কাজ করছেন। মতুয়াদের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা
নজরকাড়া। কিন্তু, সেই সময় তিনি সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক ছিলেন। ইস্তফা সংক্রান্ত জটে তাঁকে প্রার্থী করা সম্ভব না হলে শিকে ছেঁড়ে জগন্নাথ সরকারের কপালে।এই বারেও জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এরপরেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছিলেন মুকুটমণি অধিকারীর শিবির। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুকুটমণিও। এরপরেই তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে। তাঁকেই এবার রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মুকুটমণি বনাম জগন্নাথ -এই লড়াই লোকসভা নির্বাচনে দেখারলোকসভা নির্বাচনে দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। এদিকে ২০২১ সালেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের সময় যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি রেখেছেন। আর সেই জন্যই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি যোগদান করেছিলেন বলে জানিয়েছেলিন। পাশাপাশি বিজেপি-কে তোপ দেগেতিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে তাঁর বাড়িতে ED তল্লাশি চালায়। সেই সময় এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই কৃষ্ণ কল্যাণীকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী করা হল। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে তাঁর পরিচিতিও রয়েছে বিস্তর। এখন দেখার লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের হয়ে জয় এনে দিতে পারেন কি না।
No comments:
Post a Comment