মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেও সেই পিটিশন সোমবার ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট।আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, মামলাকারী সরাসরি প্রভাবিত বা ক্ষতিগ্রস্ত নন। তাই এই মামলা জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গণ্য হওয়া উচিত।
যে অভিযোগ মামলাকারী এনেছেন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে তা নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।কয়েকদিন আগেই তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি টুইট করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছিল, অপরূপার সাংসদ প্যাডে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নামের তালিকা সুপারিশ করে পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। গ্রু সি-র জন্যও নাকি তালিকা পাঠিয়েছিলেন অপরূপা।প্রসঙ্গত, এই তরুণজ্যোতির মামলাতেই দমকলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারপর তাপসকে সাড়ে চোদ্দ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে অপরূপা পোদ্দার টুইটারে বেশ সক্রিয় হয়েছেন। সেসব টুইটে বিজেপি তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চোখাচোখা আক্রমণও শানাচ্ছেন তিনি। দেখা যায় তারপরেই অপরূপার সাংসদ প্যাডের সেই তালিকা ফাঁস করেন বিজেপি নেতা। তার সত্য-মিথ্যা দ্য ওয়াল যাচাই করেনি।নারদ স্টিং অপারেশনে অপরূপাকে দেখা গিয়েছিল। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি আর্জি জানিয়েছেন অপরূপা, তৃণমূল সাংসদের আর্জি, তাঁর নাম নারদ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হোক। ২০১৪ সালে অপরূপা প্রথম সাংসদ হন আরামবাগ থেকে। উনিশের ভোটে অবশ্য কান ঘেঁষে জিতেছিলেন তিনি। তাঁর ব্যবধান ছিল ১২০০ ভোটের মতো। এখন দেখার অপরূপার বিরুদ্ধে সিবিআই চেয়ে বিজেপির তরুণজ্যোতি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যান কি না।
No comments:
Post a Comment