সেই যাত্রার পঞ্চমপর্বে পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রাত্রিবাস করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই কর্মসূচির দায়িত্বে নেই নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার কোনও নেতা। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল পড়ছে তৃণমূলের অন্দরেই। এর কারণ হিসাবে উঠে দুটি বিষয়। দলের একাংশ বলছে, ওই দুই এলাকায় তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আবার বামেরা বলছে, ওই সব এলাকার নেতাদের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। তাই ভরসা করতে পারছে না দল।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্মসূচিতে দায়িত্বে রাখা হয়েছে আট জন তৃণমূল নেতাকে। এই আটজনের মধ্যে ছ'জন পূর্ব মেদিনীপুর ও দু'জন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতা। কিন্তু কমিটিতে নেই হলদিয়া বা নন্দীগ্রামের কোনও নেতা। দলের একাংশের দাবি, দুই এলাকাতেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তীব্র। সেই দ্বন্দ্ব এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে কাউকে চটাতে নারাজ রাজ্য নেতৃত্ব। তাই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার নেতাদের।
এমনিতে দীর্ঘ দিন ধরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ওই দুই এলাকা। তৃণমূলের একাংশ বলছে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে একাধিকবার শহর তৃণমূলের সভাপতি বদলাতে হয়েছে দলকে। তমলুক আইএনটিটিইইউসি-র জেলা সভাপতিও একাধিকবার বদলাতে হয়েছে।
কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা কিছু বলতে চাননি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, 'রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আমার পক্ষে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।'তবে বামেরা বলছে অন্য কথা। দলের এক নেতার কথায়, 'হলদিয়া বা নন্দীগ্রাম এলাকায় তৃণমূল নিজের দলের নেতাদের বিশ্বাস করতে পারছে না। তার কারণ, ওই সব এলাকার নেতাদের সঙ্গে একদা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাই হলদিয়া বা নন্দীগ্রামের নেতাদের যাত্রার কমিটিতে রাখা হয়নি।'
No comments:
Post a Comment