মুখ্য নগর দায়রা আদালত শুনানির পর চিঠির বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুণালের আইনজীবী অয়ন বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন।
এর আগে জেল থেকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এক চিঠিতে অভিযোগ করেন কাঁথি পুরসভা নগদ এবং ড্রাফটে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। চিঠিতে সুদীপ্তর আরও অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু ওই টাকা দেওয়ার জন্য সারদা কর্তাকে নানাভাবে চাপ দিয়েছিলেন। ওই চিঠির ভিত্তিতে কেন শুভেন্দুকে সিবিআই গ্রেফতার করছে না, এই প্রশ্নে বহুদিন ধরেই সরব কুণাল। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের আরও অনেক নেতাই বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রশ্ন তুলছেন, সারদা কর্তার চিঠিতে শুভেন্দুর নাম থাকা সত্ত্বেও কেন সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করছে না। পাশাপাশি নারদ কাণ্ডে শুভেন্দুকেও তোয়ালেতে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে টিভির ফুটেজে। তারপরও কী করে শুভেন্দু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গিয়েছেন, সেই ইস্যুতেও তৃণমূল নেতারা হইচই করছেন বেশ কিছুদিন ধরে। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়ার পর শাসকদল শুভেন্দু ইস্যুতে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করেছে।
কয়েকদিন আগেই কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে কাগজপত্র দেখিয়ে দাবি করেন, সারদা কর্তার কাছ থেকে কাঁথি পুরসভা ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল কি না, তা অধিকারী পরিবারকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। তাহলেই দুধ কা দুধ পানি কা পানি পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেন সুদীপ্ত সেনের ওই চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না, কেন শুভেন্দুকে সিবিআই তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে না, কুণাল সেই প্রশ্নও তোলেন ওই সাংবাদিক বৈঠকে।
No comments:
Post a Comment