রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার অভিষেককে তলব করেছিল সিবিআই। সকাল ১১ টায় নিজাম প্যালেসে (কলকাতায় যেখানে সিবিআই দফতর রয়েছে) পৌঁছন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাজিরা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে।
ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে 'চাপ' দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়েও চিঠি পাঠান হেস্টিংস থানাতেও। তার পরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। পরে একই নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অভিষেক। এর মধ্যেই শনিবার অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিষেককে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে, 'নবজোয়ার' কর্মসূচি বন্ধ করতেই অভিষেককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ''কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে যদি অভিষেককে ডাকা হয়। তা হলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন তলব করা হবে না।'' অভিষেককে সিবিআই তলব নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার টুইটারে লেখেন, ''বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এ বার ঘুঘু তোমার বধিব পরান।'' বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ''আদালতের নির্দেশে সিবিআই তলব করতে বাধ্য হয়েছে। ওঁর উচিত, তদন্তে সহযোগিতা করা।''
No comments:
Post a Comment