দুই পরিবার সাদরে সায় দিয়েছে সন্তানদের ইচ্ছায়। বলেছে ভালবাসায় আবার জাত-ধর্ম (Muslim Youth) কী! কিন্তু পাঁচজনে কি তা মানে, বিশেষ করে মণিকার বাবা যশপাল পেনাম যেখানে এলাকার পরিচিত বিজেপি নেতা (BJP Leader Daughter) এবং আরএসএসের প্যারেড করা কর্মী।একইসঙ্গে তিনি উত্তরাখণ্ডের পৌরী গারওয়াল নগরপালিকা অর্থাত্ পুরসভার চেয়ারম্যান। ২৮ মে তাঁর মেয়ের বিয়ে।
পাত্র-পাত্রীর ছবি ও পরিচয় দিয়ে কার্ড ছাপানো হয়েছে। নিমন্ত্রণপত্র বিলিও প্রায় শেষ পর্যায়ের মুখে। তবে যথারীতি নিমন্ত্রণের কার্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং তেড়ে গাল পাড়ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।নিন্দকদের মুখ বন্ধ করা সহজ নয়, জানাই ছিল। একে তো 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমার কাহিনি নিয়ে উত্তেজনা আছেই। যে সিনেমার মূল বিষয় হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা। তার উপর যশপাল হিন্দুত্ববাদী শিবিরের মুখ, তার উপর উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ডেও চালু আছে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন। ফলে পুলিশ-প্রশাসন যে কোনও সময় এসে পাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, এই বিয়ে কি সত্যিই প্রেমের পরিণতি নাকি ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, এক কথায় যা লাভ জিহাদ।শুধু আইনকানুন আর পুলিশ প্রশাসনই নয়, আছে লাভ জিহাদ বিরোধী 'লেঠেল বাহিনী'। হিন্দুত্ববাদীদের সেই সব সংগঠন খুঁজে বেড়ায় কোথায় হিন্দু-মুসলিম নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেমের বীজ বপন হল। ফলে মণিকা ও মনিসের বিয়ে শান্তিতে সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছেই। কিন্তু মণিকার বাবা, পুরসভার চেয়ারম্যান যশপালের সাফ কথা, 'যারা নিন্দামন্দ করছেন তাদের মাথায় রাখা দরকার, এটা একবিংশ শতাব্দী। আমরা ছেলেমেয়েদের উপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে পারি না। ওদের ইচ্ছাকেও মর্যাদা দিতে হবে।'আরও বলেছেন, 'প্রেম-ভালবাসা-বিয়েকে ধর্মের আতস কাচের নীচে দেখার কোনও অর্থ হয় না। দুই তরুণ-তরুণীর নিজেদের ভাল লাগলে ধর্ম সেখানে গৌণ।' যশপালের এই কথায় তীব্র আপত্তি রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত গৌ সুরক্ষা আয়োগ অর্থাত্ কাউ প্রোটেকশন কর্পোরেশনের সদস্য স্থানীয় বিজেপি নেতা ধরমবীর গোঁসাইয়ের সাফ কথা আমরা এই বিয়ে মানতে পারছি। এটা উত্তরাখণ্ডীদের ঐতিহ্যের বিরোধী।
No comments:
Post a Comment