রাজ্যের শীর্ষ আদালত এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসারের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, বীরভূম জেলা আদালতে যতদিন না এই মামলায় রায় না আসে ততদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই অমর্ত্যের জমি দখল করতে পারবে না। আগামী ১০ মে সিউড়ি জেলা আদালতে অমর্ত্যের জমি নিয়ে শুনানির কথা আছে। অর্থাত্ এদিনের নির্দেশের ফলে আগামী ১০ মে পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমর্ত্যের জমি নিয়ে কোনও পদক্ষেপই করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-র নির্দেশ, জমি খালি করার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসারের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। অমর্ত্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমাল জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে পনেরো দিনের সময়সীমার মধ্যে ওই পরিমাণ জমি খালি করার নোটিস দিয়েছিলেন তাঁরা। ওই সময়ের মধ্যে জমি খালি না করলে বলপ্রয়োগ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। ৫ তারিখ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তার আগেই রাজ্যের শীর্ষ আদালত তাদের নির্দেশে জানিয়ে দিল, এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী। কার্যত এই নির্দেশকে বিদ্যুতের বড় ধাক্কা হিসাবেই যেমন দেখা হচ্ছে তেমনি অমর্ত্যের জয় হিসাবেও দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment