আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ খাদিকুল গ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৭ জনের দেহ।
আহত হন ৪ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গ্রামের রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, হঠাত্ তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, বিস্ফোরণের জেরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন সাত জন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় বহু বাজি কারখানা রয়েছে, সেকথা পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা থেকে টাকা নিয়ে চুপ করে থাকে। যার জেরে বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে এলাকায়। অভিযোগ এই বাজি কারখানাগুলি চলে তৃণমূল নেতাদের ইন্ধনে। এখান থেকে মোটা লভ্যাংশ যায় তৃণমূল নেতাদের কাছে।
পুলিশকর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। বাধা অতিক্রম করে পুলিশকর্মীরা এগনোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এক সময় আইসি ও পুলিশকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে। হাতাহাতিতে এক পুলিশকর্মীর মাথায় চোট লেগেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি না দিলে দেহ উদ্ধার করতে দেবে না স্থানীয়রা।
No comments:
Post a Comment