রবিবার এই ঘটনায় ষোরগোল ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য-রাজনীতিতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে কটাক্ষ করেন রাজ্য সরকারকে। যদিও তৃণমূল এই ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেন। সোমবার কড়া পদক্ষেপ করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।
কেন এমন ঘটনা ঘটল, শিশু মৃত্যুর পর কেন অভাবী পরিবারকে দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হল না হাসপাতালের তরফে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই ঘটনার জন্য নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা।
এদিকে এই ঘটনায় দায় এড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, অন্যদিকে, তীব্র ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে গোটা ঘটনায় সম্পুর্ন দায় এড়িয়ে গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ওই দিনমজুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানায়নি। কোনও অভিযোগও করেনি। অভিযোগ হলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হত। একই কথা শোনা গেল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেবের মুখেও। তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ওই রোগীর পরিবার হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্র বা ওয়ার্ড মাস্টার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যোগাযোগ করলে নিশ্চয়ই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হত। তবে ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান হাসপাতালের আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment