চারিদিক ধ্বংসস্তূপ, লন্ডভন্ড। সূত্রের খবর, অন্তত পক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। তারপরই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। খবর পেয়ে দমকল আসলেও চাপা রাস্তা দিয়ে পৌঁছতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে যা মিললো তাতে চোখ কপালে সকলের। বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পরিমানে শব্দবাজি। যেখানে রাজ্যে তো শব্দ বাজি নিষিদ্ধ সেখানে কিভাবে আড়ালে এত শব্দ বাজি মজুত করা হচ্ছিল সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
পাশাপাশি সেই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বারুদ, সুতুলি দড়ি জাতীয় উপাদানও। যেই বাড়িতে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির দোতলার উপর বাজির গোডাউন তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে সত্যিই সেখানে শব্দ বাজি তৈরী হত নাকি তা আড়াল করে চলতো বোমার কারবার সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে যে এগরার ঘটনার পর কেন এখানে অভিযান চালানো হল না? সত্যিই কী পুলিশ কি কিছুই জানত না? একদিকে এগরার ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বঙ্গে। তারই মধ্যে এবার বজবজের এই ঘটনা যেন আরও কিছুটা ঘি ঢাললো সেই আগুনে। জানা গিয়েছে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, স্বাভাবিকভাবেই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, নবজোয়ারে এনিয়ে আলোচনা হবে কি না জানি না। তবে বাংলার মানুষের এই সরকারের হাতে কতটা সুরক্ষিত থাকবে সেই নিয়ে সংশয়টা রয়েছে। ঘটনার পর এই নিয়ে তৃণমূলের ডাক্তার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, সরকার এই নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে বারংবার অভিযান চালায়।
পাশাপাশি বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, তাপসী মালিককে যে সিপিএম পুড়িয়ে মেরেছিল সেই সিপিএমের মুখে এসব মানায় না। অধীর চৌধুরীকেও মুখেও এসব শোভা পায় না।
No comments:
Post a Comment