Thursday 4 May 2023

কলকাতার পিজিতে চালু হল দেশের সবচেয়ে বড় স্ট্রোক চিকিত্‍সা কেন্দ্র, বেড সংখ্যা ও অনেক।

 স্ট্রোক হলে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে যাওয়ারই পরামর্শ দেন ডাক্তারবাবুরা। স্ট্রোক হওয়ার পরবর্তী চার ঘণ্টা সময়েই সবচেয়ে দামি। এই সময়টাকে বলে 'গোল্ডেন আওয়ার'। এই সময়তে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারলে তবেই রোগীর প্রাণে বাঁচার সম্ভাবনা থাকে।

স্ট্রোকে (Stroke Unit) আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে যদি হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরতে হয় তাহলেই সর্বনাশ। সেই সমস্যা মেটাতে এবার কলকাতার পিজি হাসপাতালে ৫৯ বেডের স্ট্রোক ইউনিট চালু হল। বলা হচ্ছে, দেশের সবচেয়ে বড় স্ট্রোক চিকিত্‍সাকেন্দ্র হতে চলেছে এটিই।পিজি হাসপাতালের অধীনস্থ দুই অ্যানেক্স হাসপাতাল ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা (অ্যানেক্স ৪) ও কলকাতা পুলিস হাসপাতালে (অ্যানেক্স ৬) চালু হল স্ট্রোক ইউনিট। এর মধ্যে ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালের ছ'তলায় চালু করা হয়েছে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)। সঙ্কটাপন্ন রোগীদের যাতে অপেক্ষা করতে না হয় সে জন্যই এই ইউনিট খোলা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালের তিন তলায় তৈরি হয়েছে ৪০ বেডের স্ট্রোক ওয়ার্ড। সেখানেও অ্যাকাউট স্ট্রোক রোগীদের দ্রুত চিকিত্‍সার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই দু'টি জায়গা মিলিয়ে শুধু স্ট্রোকের চিকিত্‍সার জন্যই বরাদ্দ হয়েছে ৫৯টি শয্যা।বাঙ্গুরের নিউরোমেডিসিন বিভাগে এখন মোট শয্যা ১৮০টি। তার তিনভাগের একভাগ শয্যাই বরাদ্দ হল স্ট্রোকের রোগীদের জন্য‌। বাকি শয্যাগুলিতেও প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য নিউরো রোগীদের মতো স্ট্রোকের রোগীও ভর্তি করা হচ্ছে।মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন হলেই স্ট্রোক হয়। কোনও কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হয়ে বা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন অক্সিজেনের অভাবে ব্রেন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন যে শারীরিক অবস্থা তৈরি হয় তাকে স্ট্রোক বলে। যে সময়ে হাসপাতালে পৌঁছলে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, ইংরেজিতে তাকেই বলা হয় 'গোল্ডেন আওয়ার।' এত দিন, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত (ট্রমা) বা হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রেই এই গোল্ডেন আওয়ার-এর বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন চিকিত্‍সকেরা বলছেন, স্ট্রোকের চিকিত্‍সার ক্ষেত্রেও গোল্ডেন আওয়ার রয়েছে। আর তা হল প্রথম সাড়ে চার ঘণ্টা। ইডি কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, দক্ষ অফিসার আর কেউ নেইভারতে স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ক্রমশ বাড়ছে। বছরে সংখ্যাটা ১ লাখ ৮৬ হাজারের কাছাকাছি। প্রায় দু'লাখ। স্ট্রোক (Stroke) সাধারণত দুই রকমের হয়। হেমারেজিক ও ইস্কিমিক স্ট্রোক। হেমারেজিক স্ট্রোকে ব্রেনের শিরা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। ইস্কিমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগে বয়স্ক লোকেদেরই বেশি হত। এখন লাইফস্টাইলে বদল, অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত। এখন বয়স বাছবিচার করে স্ট্রোক (Stroke) হয় না। আর সাইলেন্ট স্ট্রোক তো আরও মারাত্মক। জানান দিয়ে আসে না। এই সময়টাতে যাতে রোগীরা সঠিক চিকিত্‍সা পান, বিনা চিকিত্‍সায় ফিরে যেতে না হয় তার জন্যই বড় পদক্ষেপ করল কলকাতার পিজি হাসপাতাল।

No comments:

Post a Comment

তৃণমূল করার অপরাধে শুভেন্দুর বিধানসভায় নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় পানীয় জল বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় ধরনা মহিলাদের

তাদের একমাত্র অপরাধ একুশের বিধানসভা  (Nandigram Assembly Election 2021 ) নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিয়েছিলেন। এ...