এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চন্ডিপুর সহ নন্দীগ্রামের জায়গায় রাস্তা অবরোধ ও প্রতিবাদ মিছিল করছে তৃণমূল। এদিকে কলকাতা থেকে যাওয়া ৮ সদস্যের প্রতিনিধিরা মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।
বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়ি ওই যুবককে পিছিয়ে দেওয়ার পর গুরুতর আহত ইসরাফিলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে শুভেন্দুর পালিয়ে যাওয়ার খুব্ধ এলাকাবাসী। চূড়ান্ত অমানবিক ও ক্রিমিনালের মতো আচরণে ক্ষুব্ধ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ক্ষোভে ফুঁসছে চন্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম - তমলুক- কাঁথি সমস্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় শুভেন্দুর গ্রেফতারী চেয়ে সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ উঠেছে, তীব্র গতিতে বেপরোয়া ভাবে কনভয় ছুটিয়ে রোজই যাতায়াত করেন বিরোধীদলনেতা।
বৃহস্পতিবার রাতেও ভয়ংকর গতীতে কাঁথির দিকে ছুটছিল কনভয়। জানা গিয়েছে, শুভেন্দুর গাড়ির দুপাশে জিকজ্যাক করে চলে একাধিক গাড়ি। তাতে রাস্তার দুপাশে জায়গা আরও ছোট হয়ে আসে। জনবহুল ভৈরবতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতেও তাই হয়েছিল। তখনই কনভয়ের গাড়ি পিষে দেয় ইসরাফিলকে। রাতেই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। আজও তা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু জনরোষের ভয়ে লুকিয়ে রয়েছে কাঁথির বাড়িতে।
No comments:
Post a Comment