ধৃত গাড়ি চালকের নাম আনন্দ কুমার পান্ডা। আর এই মৃত্যুর প্রতিবাদে কাঁথিতে ভবতারিণী মন্দির থেকে শুরু করে ক্যানেল পার্ক পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূল। মৃত যুবকের দেহ নিয়ে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয় কাঁথি। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সোহম চক্রবর্তী ও দোলা সেনরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আর তৃণমূলের এই প্রতিবাদ মিছিলের কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বাড়ির গলির ভেতরে প্রবেশও বন্ধ করা হয়। তবে, ওই যুবকের মরদেহ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনের বড় রাস্তা দিয়ে মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর শাস্তির দাবিও করা হয়। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, ”শুভেন্দুর গাড়িতে দুর্ঘটনা খুবই দুঃখজনক ঘটনা, তবে এটা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা রাজনীতি করছে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরের কাছে একটি দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান স্থানীয় এক যুবক। সাইকেলে চেপে ওই যুবক সেই সময় রাস্তা পারাপার করছিলেন। মারাত্মক জখম অবস্থায় ওই যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত যুবকের নাম সেখ ইসরাফিল (৩৩)। তিনি চণ্ডীপুরের ভৈরবপুর এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায়। কনভয়ের সামনের দিকে থাকা গাড়ির ধাক্কাতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকা কনভয় বেশ কিছু সময় আগেই ওই রাস্তা পার করে চলে যায়। পেছনে অনেকটা দূরে থাকা দ্বিতীয় কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা রাস্তায় টায়ার জ্বেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
No comments:
Post a Comment