ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতার সেই মতকে দল অনুমোদন করছে না বলে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ''আমরা কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই না। দলের অবস্থান তা নয়।'' তবে একই সঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, শুভেন্দু এ বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে থাকতে পারেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলে বাকিটা জানবেন।
পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে চলেছে রাজ্য বিজেপি। এ ব্যাপারে বাংলার বিজেপি সাংসদেরা তো বটেই, বিজেপি বিধায়কেরাও বহুবার তদ্বির করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা মতুয়া সমাজ ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে দীর্ঘদিন ধরে। যে মতুয়ারা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই আইন সংসদে পাস করালেও তার ধারা তৈরি করতে পারেনি এখনও। উপরন্তু গত জানুয়ারি মাসে সিএএ-র ধারা তৈরির জন্য আরও ছ'মাসের সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকি, এপ্রিলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এলেও সিএএ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এই পরিস্থিতিতে যখন লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিএএ প্রসঙ্গ তুলতে চাইছে না বলে জল্পনা শুরু করেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে, তখনই শুভেন্দু জনসভায় টেনে আনলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ।
শনিবার মালদহের মথুরাপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। শ্রোতাদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকেছো, তাকে কাঁটাতারের বেড়ার ও পারে যেতে হবে। সে হিন্দু হোক আর মুসলিম। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে এলে তার সঙ্গে কোনও ব্যাপার নেই। যে ভারতে জন্মেছো...।'' রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এ ব্যাপারে নিজেদের মতামত জানালেন।
রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত বলেন, ''আমরা কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সিএএ-এর মাধ্যমে বাকিদের নাগরিকত্ব দিতে চাই। এটাই আমাদের দলের অবস্থান। বিরোধী দলনেতা ঠিক কী বলেছেন আমি জানি না। আপনি যা বলছেন সেটা ঠিক হলে মনে হয়, তিনি ব্যক্তিগত মত দিয়ে থাকতে পারেন। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলে জানব, তিনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বলেছেন। তবে, রাজ্যবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।''
No comments:
Post a Comment