Tuesday 9 May 2023

কর্নাটকে শুরু ভোটগ্রহণ পর্ব, ত্রিমুখী লড়াইয়ে পদ্ম ফুটবে কি এবার?

  আজ বুধবার কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন (Karnataka election 2023)। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ। ২২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এক দফাতেই ভোট গ্রহণ হবে, যার ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ মে শনিবার।দক্ষিণ ভারতের একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য হল কর্নাটক।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka poll) ১০৪টি আসনে জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস পেয়েছিল ৮০টি আসন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস)-এর দখলে ছিল মাত্র ৩৭ টি আসন। সেই সময় কংগ্রেসের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার ফল হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কুরশি দখল করেছিলেন দেবেগৌড়া পুত্র কুমারস্বামী। যদিও সেই সরকারের আয়ু ছিল মাত্র ১ বছর। ২০১৯ সালেই কংগ্রেস এবং জেডিএস এর প্রায় ২০ জন বিধায়ক নিজেদের দল ত্যাগ করে যোগ দেন পদ্ম-শিবিরে। বিধায়ক ভাঙিয়েই কর্নাটকের ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন বাসবরাজ বোম্মাই।চলতি নির্বাচনে সেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চলেছে কর্নাটকবাসী। এবারের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ছাড়া অন্যান্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের ৩ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী- জেডি(এস) এর এইচডি কুমারস্বামী, কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া, কংগ্রেসেরই জগদীশ শেট্টার। এছাড়া প্রদেশ সংঘের সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবিও রয়েছেন প্রার্থী তালিকায়।কর্নাটকে এবার মোট ভোটার ৫ কোটি ৩০ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৬৬ লক্ষ এবং মহিলা ২ কোটি ৬২ লক্ষ ।২০১৮-র তুলনায় পরিস্থিতি এবার পদ্ম শিবিরের জন্য অনেক বেশি প্রতিকূল। ওই রাজ্যে দলের মুখ প্রবীণ বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে এক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে বিজেপির লাভের চাইতে ক্ষতি হয়েছে বেশি। দলেই প্রশ্নের মুখে পড়ে মোদী-শাহের সেই সিদ্ধান্ত। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে নিয়ে ভোটের আগে অসন্তোষ এতটাই চরমে ওঠে যে দলের একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী দল ছাড়েন। টিকিট না পেয়ে অভিমানে বসে যান আর এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। ২২৪ আসনের বিধানসভায় অন্তত ৪০টি'তে বিজেপির বাগি প্রার্থী আছে।বাসবরাজ প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মানুষ হলেও তাঁকে তারা ইয়েদুরাপ্পার মতো কদর করে না। তার উপর বাসবরাজ সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তে বিজেপির উপর বেজায় ক্ষিপ্ত প্রভাবশালী আর এক সম্প্রদায় ভোক্কালিগারাও। ফলে মোদী-শাহকে অন্য রাজ্যের মতো শুধু প্রচারে নামতে হয়েছে তাই-ই নয়, কর্নাটকে রীতিমতো ক্যাম্প করে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত সপ্তাহে টানা তিনদিন কর্নাটকে পড়ে থেকে সভা, রোড-শো করেছেন মোদী। শাহ ছিলেন আরও বেশিদিন। গত একমাস যাবত তাঁরা দফায় দফায় ছুটেছেন ওই রাজ্যে। কারও বুঝতে বাকি নেই, দক্ষিণের এই একমাত্র রাজ্যে দলকে একক শক্তিতে ক্ষমতায় আনা মোদী-শাহ চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছেন। এমনিতেই কর্নাটকে গত ৩৮ বছরে কোনও দল টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। তার উপর বিজেপি দল ভাঙিয়ে বেশি আসনের মালিক হলেও তাদের প্রাপ্য ভোট কংগ্রেস থেকে কম।ইমরানের গ্রেফতারিতে বিক্ষোভে রণক্ষেত্র পাকিস্তান! ফেসবুক-টুইটার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

No comments:

Post a Comment

তৃণমূল করার অপরাধে শুভেন্দুর বিধানসভায় নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় পানীয় জল বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় ধরনা মহিলাদের

তাদের একমাত্র অপরাধ একুশের বিধানসভা  (Nandigram Assembly Election 2021 ) নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিয়েছিলেন। এ...