রাজ্যে আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই দিনক্ষণ ঘোষিত হয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কমিশনের আলোচনার সাপেক্ষে। সেই জায়গায় প্রশ্ন তোলে বিরোধিরা যে, অভিষেক কীভাবে পঞ্চায়েতের ভোট কবে হবে সেই নিয়ে মন্তব্য করেন? রাজ্য নির্বাচন কমিশন(West Bengal State Election Commission) কী তাঁর অধীনস্থ? এই বিতর্কের মাঝেই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস অবসর নিচ্ছেন। তারপরে নতুন কমিশনার নিয়োগের পরেই পঞ্চায়েত ভোট ঘোষিত হতে পারে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস আগামী ২৮ মে অবসর নিচ্ছেন। গত ২৮ মার্চই তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই আইনমাফিক রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ দু'মাস বাড়ানো হয়। বর্তমান আইনে তাঁর মেয়াদ আর বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাই এখনই রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হচ্ছে না বলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পর পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ঘোষণা যা হবার হবে। তবে সেই ভোটের প্রস্তুতির কাজ শেষ। এদিকে নতুন কমিশনার কে হবেন তা নিয়ে বিস্তর কাঁটাছেঁড়া চলছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম ঠিক হয়েছিল, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী অবসর গ্রহণের পর তাঁকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার করা হবে। ৩০ জুন তিনি অবসর নিচ্ছেন। যদিও রাজ্য সরকার তাঁর চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে মুখ্যসচিব পদে রাখতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে। রাজ্যের যুক্তি, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে মুখ্যসচিবের মেয়াদ অবসরের পর এক বছর বাড়ানোর নজির রয়েছে। যদিও একান্তই সেই মেয়াদ বাড়ানো না যায় সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে এনে পঞ্চায়েত ভোট করার প্রস্তাব নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য কমিশনারের তালিকায় আরও কয়েকজন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারেরও নাম রয়েছে।
কিন্তু ভোটটা হচ্ছে কবে? রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট হতে পারে জুলাই মাসে। যদিও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের(21she July) সমাবেশ ঘিরে। জোড়াফুল শিবিরে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার শেষেই ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। ২৪'র ভোটের আগে এটাই শেষ ২১শের সমাবেশ। সেক্ষেত্রে এই কর্মসূচী চূড়ান্ত ভাবে সফল করতেই ঝাঁপাবে তৃণমূল। তাই জেনেশুনে ওই সময় পঞ্চায়েতের ভোট নাও চাইতে পারে রাজ্য। এমনটাও হতে পারে যে ২১শের সমাবেশের পরে ভোট ঘোষণা করে অগস্টের প্রথমার্ধে ভোট করিয়ে নেওয়া। সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন থাকছে বর্ষা। একান্তই এই সময়ে না হলে সেই নভেম্বর উত্সব মরশুম শেষ করে।
No comments:
Post a Comment