Sunday 30 April 2023

অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ যাত্রায় 'বাদ' নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার নেতৃত্ব!

কোচবিহার থেকে দু'মাসব্যাপী জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই যাত্রার পঞ্চমপর্বে পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রাত্রিবাস করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই কর্মসূচির দায়িত্বে নেই নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার কোনও নেতা। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল পড়ছে তৃণমূলের অন্দরেই। এর কারণ হিসাবে উঠে দুটি বিষয়। দলের একাংশ বলছে, ওই দুই এলাকায় তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আবার বামেরা বলছে, ওই সব এলাকার নেতাদের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। তাই ভরসা করতে পারছে না দল।

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্মসূচিতে দায়িত্বে রাখা হয়েছে আট জন তৃণমূল নেতাকে। এই আটজনের মধ্যে ছ'জন পূর্ব মেদিনীপুর ও দু'জন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতা। কিন্তু কমিটিতে নেই হলদিয়া বা নন্দীগ্রামের কোনও নেতা। দলের একাংশের দাবি, দুই এলাকাতেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তীব্র। সেই দ্বন্দ্ব এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে কাউকে চটাতে নারাজ রাজ্য নেতৃত্ব। তাই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার নেতাদের।

এমনিতে দীর্ঘ দিন ধরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ওই দুই এলাকা। তৃণমূলের একাংশ বলছে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে একাধিকবার শহর তৃণমূলের সভাপতি বদলাতে হয়েছে দলকে। তমলুক আইএনটিটিইইউসি-র জেলা সভাপতিও একাধিকবার বদলাতে হয়েছে।

কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা কিছু বলতে চাননি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, 'রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আমার পক্ষে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।'তবে বামেরা বলছে অন্য কথা। দলের এক নেতার কথায়, 'হলদিয়া বা নন্দীগ্রাম এলাকায় তৃণমূল নিজের দলের নেতাদের বিশ্বাস করতে পারছে না। তার কারণ, ওই সব এলাকার নেতাদের সঙ্গে একদা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাই হলদিয়া বা নন্দীগ্রামের নেতাদের যাত্রার কমিটিতে রাখা হয়নি।'

পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন ৬টি থানা গড়ছে রাজ্য পুলিশ, কারা পাচ্ছে নতুন পুলিশ স্টেশন

রাজ্য রাজনীতিতে বরাবর পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) চর্চায় রয়েছে। বিশেষ করে গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে চর্চা আরও বেড়েছে। কারণ মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari) তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান এবং এই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করেন।
এবার এই পূর্ব মেদিনীপুর ফের চর্চায় নতুন থানা (Police Station) নিয়ে।

৪,৭৩৬ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫১ লক্ষ। এখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে ২৯টি থানা রয়েছে। তবে এরপরেও এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখে আরও ৬টি থানা বাড়ানোর কথা জানালেন পুলিশ সুপার অমরনাথ কে।

নতুন যে ৬টি থানা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হবে রেয়াপাড়া, হেঁড়িয়া, অমর্ষি, বালিঘাই, প্রতাপপুর এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪ টি থানা রয়েছে। এই ২৪টি থানার অধীনে জেলার ২৫ ব্লকের ২২৩টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। যাদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকটি থানার আওতায় রয়েছে একাধিক ব্লক। যে কারণে ওই সকল এলাকায় কোন সমস্যা হলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছান সম্ভব হয় না।

এর পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে, বেশ কিছু থানার এলাকা এতটাই বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত কোন কিছু জানানোর জন্য থানায় পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। এই সকল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নতুন থানা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। এই ২৪ টি থানা ছাড়াও পাঁচটি কোস্টাল থানা অর্থাত্‍ নয়াচর, তালপাটি, মন্দারমণি, দিঘা এবং জুনপুট জলপথে নজরদারি চালিয়ে থাকে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়া এবং সুশাসন গড়ে তোলার জন্য নতুন ছয়টি থানা তৈরি করা হচ্ছে। বিষয়টি এই মুহূর্তে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। নতুন থানা তৈরি করার জন্য জমি খোঁজার কাজ চলছে এবং খুব তাড়াতাড়ি নতুন থানা তৈরি করা হবে। নতুন থানা তৈরি হলে জেলার থানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৫।

দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ শোনেনই না 'মন কি বাত', অস্বস্তিতে বিজেপি

এদিনই ছিল এই অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব। ভারতের মাটিতে প্রায় সব রেডিও স্টেশন ও টিভি চ্যানেলে সেই অনুষ্ঠান তো একযোগে সম্প্রচারিত হয়েইছে, সেই সঙ্গে তা রাষ্ট্রসঙ্ঘেও(UNO) দেখা নো হয়েছে। ভারতের বাইরে আর কোনও দেশের কোনও রাষ্ট্রপ্রধান এতদিন ধরে টানা জাতির উদ্দেশ্যে এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠান করে দেখাতে পারেননি। কিন্তু এই সব সাফল্যের মাঝে গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় অস্বস্তির মুখে ফেলে দিয়েছে এক সমীক্ষা। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে গত ৯ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রতি মাসের শেষ রবিবার নিয়ম করে 'মন কী বাত' অনুষ্ঠান করলেও তা আজ অবধি শোনেননি, দেখেননি দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ।


জানা গিয়েছে, Center for the Studies of Developing Societies বা CSDS নামের একটি সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছিল গোটা দেশে। সেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দেশের প্রায় ৯০ কোটি মানুষ বা দেশের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ মানুষ কোনওদিন প্রধানমন্ত্রীর 'মন কী বাত' অনুষ্ঠান না শুনেছেন না দেখেছেন। দেশের মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ এই অনুষ্ঠান মাঝেমধ্যে শুনেছেন বা দেখেছেন। যেহেতু এই অনুষ্ঠান হিন্দিতে হয় তাই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে এই অনুষ্ঠান শোনার বা দেখার কোনও আগ্রহই নেই। এমনকি বিজেপি শাসিত কর্ণাটকেও ছবিটা একই। আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য হল হিন্দি বলয়ের মধ্যে থাকা উত্তর ও মধ্য ভারতেরও ৬২ শতাংশ মানুষ কোনওদিন 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান না শুনেছেন না দেখেছেন। শুধু এটাই নয় বিজেপির তথাকথিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলিতেও বিজেপি(BJP) সমর্থকদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মানুষ শোনেন না বা দেখেন না প্রধানমন্ত্রীর 'মন কী বাত'। তাই বিজেপি এদিন ১০০তম 'মন কি বাত' নিয়ে যতই লম্ফঝম্ফ করুক না কেন, বাস্তব কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে দ্রুত পায়ের নীচে মাটি হারাচ্ছেন মোদি। দেশের মানুষ আর আগ্রহী নয় তাঁর 'মন কী বাত' শুনতে। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাও কার্যত তলানিতে ঠেকেছে।

এদিনের ১০০তম 'মন কী বাত' অনুষ্ঠানকে ঘিরে গত এক দেড় সপ্তাহ জুড়ে হাইভোল্টেজ প্রচার চালিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। টিভি ও রেডিওর প্রায় সব চ্যানেলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ১০০তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে দেশবাসীর বিন্দুমাত্র কোনও আগ্রহ নেই। সব আগ্রহ তলানিতে এসে ঠেকেছে।
কেননা আমজনতা মনে করছেন এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যত দেশবাসীর গুরুঠাকুর হয়ে উঠতে চাইছেন। কিন্তু দেশবাসীর নিত্যদিনের সমস্যার সমাধান তিনি করতে চাইছেন না। নিত্যদিনই তিনি ও তাঁর সরকার আমজনতার ওপর একের পর এক বোঝা চাপিয়ে চলেছেন। তাই তাঁর 'মন কি বাত' শোনার আর কোনও আগ্রহ নেই দেশবাসীর।

১২ দিনের জেল, বাবার সঙ্গে দেখা হবে কি মেয়ের?

 গরু পাচার মামলায় ধৃত সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) ঠাঁই হতে চলছে তিহাড়ে (Tihar Jail)? দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রত কন্যাকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরই এই প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিহাড়েই যেতে হচ্ছে সুকন্যাকে।
নির্দেশনামা সামনে আসতেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। আগে থেকেই এই জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)বুধবার বিকেলে পর সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রবিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি ছিল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার। ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জানা গেছে, ইডি আর সুকন্যাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেনি।ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ইডি অফিসারদের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সুকন্যাকে। তদন্তকারীদের প্রশ্নে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। শুধু বলেছেন, 'আমি কিছু করিনি। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও নথি দিতে পারব না।'সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের কাছে সুকন্যার আর্জি ছিল, বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হোক তাঁকে। শুধু তাই নয়, তিহাড়ে বাবার সঙ্গেও দেখা করতে চান 
 আবেদন না করলেও তিনি বলেন যে, জেলে বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক তাঁর মক্কেলকে। শুধু তাই নয়, বাবা অনুব্রত ও বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে অন্তত ১০ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জেল কর্তৃপক্ষ।

Saturday 29 April 2023

এবার নন্দীগ্রাম! প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরাট খবর..

আজ রবিবার রেডিও অনুষ্ঠান 'মন কি বাত'-এর ১০০ তম পর্ব সম্প্রচারিত হবে দেশজুড়ে। আর এই নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পশ্চিমবঙ্গে ১৩ হাজার এলাকায় 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান শোনানোর আয়োজন করেছে বিজেপি (BJP)।
#nandigram24news 
শুধু তাই নয়, মন কি বাতকে ঘিরে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে বিশাল আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। এরই সঙ্গে নন্দীগ্রামের (Nandigram) মানুষদের সঙ্গেও কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

রাজ্যে হজযাত্রা শুরু ২১ মে, যাত্রীদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন।

আগামী ২১ শে মে থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে হজযাত্রা। চলবে ৬ ই জুন পর্যন্ত। আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের মাধ্যমে হজ যাত্রা শুরু করবেন প্রায় ১৪ হাজারের বেশী হজ যাত্রী। এই হজ যাত্রীদের তীর্থ যাত্রা মসৃণ করতে পর্যাপ্ত ব্যাবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে বিভিন্ন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে নবান্ন সভাঘরে শনিবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে হজ যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিল হজ কমিটির প্রতিনিধিরাও।
 সংখ্যালঘু বিষয়ক, পরিবহন, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি সহ হজ যাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের সচিব সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রেল, বিমান বন্দর কতৃপক্ষ, সি আই এস এফ, পাসপোর্ট সেবা বিভাগের আধিকারিকরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

নিউটাউনের হজ হাউসের প্রস্তুতি, হজ যাত্রীদের পাসপোর্ট এবং বিমান বন্দরের নিরাপত্তা পাসের ব্যবস্থা, তাদের টিকাকরণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে মুখ্য়সচিব কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশকে হজ হাউসগুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে সিনিয়ার পুলিশ আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পুরসভাগলিকে পর্যাপ্ত জলের ব্যাবস্থা ও নিয়মিত সাফ সাফাইয়ের কথা বলা হয়েছে।
পরিবহন দফতর কে হজ যাত্রীদের জন্য এসি বাসের ব্যবস্থার পাশাপাশি নোডাল অফিসারদের সঙ্গে সমন্বয় রাখার কথা বলা হয়।হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কোভিড টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । সরকারি হাসপাতালে হজ যাত্রীদের জন্য আলাদা শয্যার ব্যাবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

MRI করাতে গিয়ে কলকাতার হাসপাতালে তরুণীর মৃত্যু, চিকিৎসক বলছেন, ‘মেডিক্যাল মিস্ট্রি’



মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শনিবার হাসপাতালের পার্ক সার্কাস সেন্টারে এম‌আর‌আই করানো হয়। জানা যাচ্ছে, এম‌আর‌আই যন্ত্রে ঢোকানোর পর বমি বমি ভাব শুরু হয় শ্রীপর্ণার। মায়ের দাবি, মেয়ে যখন গুরুতর অসুস্থ তখন তাঁকে দেখার জন্য কোন‌ও চিকিৎসক ছিলেন না।


কলকাতা: এম‌‌আর‌আই (MRI) করাতে গিয়ে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে তরুণীর মৃত্যু (Patient Death)। বছর কুড়ির ওই তরুণীর নাম শ্রীপর্ণা দত্ত। বাড়ি তেঘরিয়া এলাকায়। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের পদার্থবিদ্যার ছাত্রী। মেধাবী ছাত্রীর হাত কাঁপার সমস্যার চিকিৎসা করানোর জন্য মেয়েকে মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে গত ২০ এপ্রিল দেখাতে নিয়ে যান তাঁর বাবা-মা। বহির্বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শনিবার হাসপাতালের পার্ক সার্কাস সেন্টারে এম‌আর‌আই করানো হয়। জানা যাচ্ছে, এম‌আর‌আই যন্ত্রে ঢোকানোর পর বমি বমি ভাব শুরু হয় শ্রীপর্ণার। মায়ের দাবি, মেয়ে যখন গুরুতর অসুস্থ তখন তাঁকে দেখার জন্য কোন‌ও চিকিৎসক ছিলেন না।


পার্ক সার্কাসের ওই সেন্টারে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন মল্লিকবাজারে নিয়ে আসা হয় ততক্ষণে সব শেষ। গোটা ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত তরুণীর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, এম‌আর‌আই করানোর সময় এম‌আর‌আই সেন্টারে ছিল না চিকিৎসক। যে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ছিলেন তিনিও তুলনায় কম অভিজ্ঞ। শ্রীপর্ণার অন্য কোনও শারীরিক সমস্যাও ছিল না বলে দাবি পরিবারের। শ্রীপর্ণার মায়ের প্রশ্ন, এমআর‌আই করাতে গিয়ে কীভাবে মেয়ের মৃত্যু ঘটল? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি চিকিৎসকেরা। এম আর‌আই করাতে গিয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনা যে স্বাভাবিক নয় তা মেনে নিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও।

হাসপাতালের তরফে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘রোগীর কিছু সমস্যা ছিল। সেই কারণে এমআরআই করা হয়েছিল। তাঁর মাঝে মাঝে অচেতন হয়ে পড়ছিলেন। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভিতর কী চলছে, তা বোঝার জন্য এমআরআই করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এমআরআই শেষ হওয়ার কিছু আগে থেকেই তিনি বমি বমি ভাব অনুভব করতে থাকেন। তাঁকে বের করে চেয়ারে বসানো হয়েছিল। আর সঙ্গে সঙ্গে বমি শুরু হয়। সেই সময় দুইজন কনসালটেন্ট আসেন এবং তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও কোনও কাজ হয়নি। এরপর তাঁকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পালস রেট পাওয়া যায়নি। কী কারণে মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা হবে।’


যে চিকিৎসক শ্রীপর্ণাকে দেখছিলেন, সেই চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, ‘রোগী মাঝেমধ্য়েই অচেতন হয়ে পড়ছিলেন। তাই রুটিন চেকআপের জন্য এমআরআই করতে বলা হয়েছিল। রোগীর সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কেন এমন হল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কেন মৃত্যু হল, তা একটি মেডিক্যাল মিস্ট্রি।’

নিমতৌড়িতে মাদকদ্রব্য সহ দুইজনকে গ্রেফতার করলো তমলুক থানার পুলিশ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার নিমতৌড়িতে ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার দুই। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার ২৭৮ গ্রাম ব্রাউন সুগার, যার বাজারমূল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা। ধৃতদের নাম গৌতম মিশ্র, শেখ সাফিজুল (অলিয়াস ন্যাড়া)। পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে দুই সন্দেহ ভাজন ব্যক্তি নিমতৌড়ি তে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকায় ঘোরাফেরা করছে।

এরপর পুলিশের একটি টিম ধৃতদের আটক করে তল্লাশি চালানোর সময় ধৃতদের থেকে বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কথা থেকে এই ব্রাউন সুগার কেনা হয়েছে ও এর কারা এর সাথে জড়িত সেই বিষয়ে তদন্ত চালাবে। লাগাতার ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।

Friday 28 April 2023

ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় জামিন পেলেন নন্দীগ্রামের ৯ তৃণমূল কর্মী

  



হলদিয়া: ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence) জামিন পেলেন নন্দীগ্রামের ৯ জন তৃণমূল (TMC) কর্মী। শুক্রবার হলদিয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র‍্যাক) এই নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন জামিন পান শেখ নজরুল ইসলাম, শেখ কালু, শেখ মুক্তাদের রহমান, আবদুল হাই, শেখ মুস্তাক, শেখ হায়াতুল, শেখ ইমাদুল, শেখ মইদুল এবং শেখ আতাউর রহমান।


২০২১ সালের ৫ মে বিধানসভা ভোট (Assembly Election 2021)-পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত মাইতি গুরুতর জখম হন। কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মে দেবব্রতর মৃত‍্যু হয়। সেই ঘটনায় প্রথমে রাজ‍্য পুলিশ শেখ মিজানুর এবং শেখ ফতেনুর, দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকমাস পর তাঁরা জামিন পান। পরে মৃতের পরিবারের দাবি অনুযায়ী, হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয় ২০২১ সালের জুলাই মাসে। হলদিয়া টাউনশিপের হলদিয়া (Haldia)বন্দরের অতিথিশালায় অস্থায়ী অফিস করে লাগাতার তদন্তের কাজে চলে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। তাতে আরও ১৮ জনের নাম উঠে আসে। সকলেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মী।
পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore)জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের, স্থানীয় কালীচরণপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সৈয়ম কাজি, মহম্মদপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান শেখ হাবিবুল, কেন্দেমারি প্রধানের স্বামী শেখ সাহাউদ্দিন, নন্দীগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী শেখ বাইতুলের নাম জড়িয়ে যায়। তবে আইনি লড়াইয়ে নেমে সুফিয়ান সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান। সৈয়ম কাজি, শেখ সাহাউদ্দিন, শেখ বাইতুল এবং শেখ হাবিবুল আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন। এই মামলায় এবার একসঙ্গে ৯ জন জামিন পেলেন।

Nandigram ২৪নিউজ

মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্ত এড়িয়ে এখনও ফেরার আবু তাহের, খুশনবি এবং আমানুল্লাহ। আসামি পক্ষের আইনজীবী বিমল মাজি এবং মনসুর আলম সিবিআই আইনজীবীর যাবতীয় যুক্তি খণ্ডন করেন। বাদী-বিবাদী পক্ষের যুক্তি-পালটা যুক্তি পর্ব চলে প্রায় দু’ঘণ্টা। সিবিআই আইনজীবী জামিন নাকচের আবেদন জানান। শেষে বিচারক ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র জানান, ‘‘বিচার ব‍্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। হলদিয়া মহকুমা আদালতের নির্দেশে প্রমাণিত হল তৃণমূল কর্মীদের মিথ‍্যা মামলায় জড়ানো হয়েছিলো।


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ পাঠাল। জানাল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সব মামলা শুনছিলেন, সেগুলি শোনার জন্য অন্য বিচারপতি নিয়োগ করা হোক।


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতা হাই কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি থেকে সরিয়ে দিলে, তিনি এই মামলায় যে সব রায় দিয়েছেন, তার ভবিষ্যত্‍ কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।

গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাত্‍কার দিয়েছেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, বিচারপতিরা কোনও ভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্‍কার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাত্‍কার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে। শুক্রবার দেখা গেল তা-ই হল।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে যাঁদের স্কুলের বিভিন্ন স্তরে চাকরি গিয়েছে, তাঁদের অনেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে সেই সব মামলার শুনানি ছিল। চাকরিহারাদের হয়ে আইনজীবী মুকুল রোহতগি শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে জানান, প্রধান বিচারপতি শুক্রবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তার পরে হাই কোর্টের বিচারপতির রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি হোক। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় ইঙ্গিত করেছেন, যদি বিচারপতি বিচারাধীন বিষয়ে সাক্ষাত্‍কার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেই পূর্বাভাসই সত্যি হল শুক্রবার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে গেল নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।

চাকরিহারাদের হয়ে আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা জানান, হাই কোর্টের বিচারপতি গত সেপ্টেম্বরে সাক্ষাত্‍কার দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এ বিষয়ে কী বিশ্বাস করেন। অর্থাত্‍, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিনি আগেই বিচার করে ফেলেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রশ্ন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলা শোনার অধিকার হারালে তাঁর রায়গুলির কী হবে?

Thursday 27 April 2023

উত্তরবঙ্গ বন্‌ধ বাস ভাঙচুর, জোর করে দোকান বন্ধের অভিযোগ, বন্‌ধ সফলে মরিয়া বিজেপি।

জোড়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ। প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক বিজেপির। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি জেলায় জেলায়। বন্‌ধের মাঝেই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সকাল ৯. ৩৭ টা: রায়গঞ্জে বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বাসকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা ধর্মঘটীদের। নজরে পড়তেই পদক্ষেপ পুলিশের। আটক বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। 

সকাল ৯.৩০ টা: মালদহে (Malda) জাতীয় সড়কে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে বিজেপি। 

সকাল ৯.০০টা: বন্‌ধের মাঝেও কাজকর্ম স্বাভাবিক চা বাগানে। 

সকাল ৮.৪০: উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) কথায়, 'বন্‌ধ করে মানুষের মন পাওয়া যাবে না। আর জোর করে বন্‌ধ করাও যাবে না।'

সকাল ৮.৩০: জাকিরমোড়ে কোচবিহার থেকে দিনহাটাগামী বাস ভাঙচুর। প্রবল উত্তেজনা এলাকায়। বন্ধ বেসরকারি বাস পরিষেবা। জলপাইগুড়িতে বন্ধ করা হল স্কুল। একাধিক জায়গায় জোর করে দোকান বন্ধ করানোর অভিযোগ। 

সকাল ৭.৩০: কোচবিহারে বাস ভাঙচুরের অভিযোগ ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে। ইটের আঘাতে ভাঙল বাসের কাচ। আহত বাস চালক। কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ।

সকাল ৭.০০ টা: বন্‌ধ সফল করতে রায়গঞ্জের বাজারে বিজেপি। দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ। এদিকে বন্‌ধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় তৃণমূল। দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অশান্তির জেরে উত্তেজনা রায়গঞ্জে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বিজেপির। বাড়ানো হল পুলিশি টহল।

সকাল ৬.৩০ টা: কোচবিহার, ধূপগুড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা নেই বেসরকারি বাসের। শুনশান পথঘাট। তবে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বিজেপির। 

সকাল ৬.০০ টা: কালিয়াগঞ্জে জোড়ামৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক বিজেপির। সকাল ৬ টা থেকে ধর্মঘট সফল করতে পথে বিজেপি। এদিকে ধর্মঘট ব্যর্থ করতে রাস্তায় পুলিশ।

সমাজসেবার কাজের জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত হলো #Drঅজয় মন্ডলের।

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন সমাজসেবার কাজ করে INDIA BOOK OF RECORDS - এর পাতায় দিনহাটার বিশিষ্ট সমাজসেবী চিকিৎসক অজয় মণ্ডল

2007 সাল থেকে টানা ১৭ বছর ধারাবাহিক ভাবে সমাজসেবার কাজ করে যাওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্তি India Book of Records এর রেকর্ড বুকে সমাজসেবী হিসাবে নাম নথিভুক্তকরন ও পুরস্কার প্রাপ্তি। এই পুরস্কার আমাকে আগামীতে সমাজসেবার কাজে এগিয়ে যেতে অক্সিজেন জোগাবে। এই স্বীকৃতি আমার একার নয়। এ স্বীকৃতি সবার। এই স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার আমি উৎসর্গ করলাম আমার পুরো টিম, আমার পূর্নাঙ্গিনী সাথে সাথে আমার সকল প্রিয় দুঃস্থ মানুষদের কে যাদের ছাড়া আমার এ পুরস্কার অধরা থাকতো। সর্বোপরি আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার তো গরীব দুঃস্থ অসহায় মানুষদের ভালোবাসা ও প্রালঢালা আশীর্বাদ।
উনি সমাজের বিভিন্ন সমাজ - সেবা মূলক কাজে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে আছেন। দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে সর্বদা নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
একপ্রকার বলা চলে গরীবের রবীনহুড, তার মানে এই নয় যে অন্যের টাকায় সমাজ সেবা করে।
নিজের টাকায় অবশ্যই করে। বেশিরভাগ রোগী দের কাছ থেকে ডাক্তার বাবু ফী তো নেয় না বরং ওষুধ পর্যন্ত কিনে দেয়।source fb page dr ajay mondol।
আগামী দিনে সাফল্য কামনা করি পেজের পক্ষ থেকে।

Dr অজয় মন্ডলের কিছু বক্তব্য...
2007 থেকে ধারাবাহিক ভাবে সমাজসেবার কাজে কাঠবিড়ালির মতো লেগে থাকার জন্য আরো একটা স্বীকৃতি ও প্রাপ্তি। তবে এবারের টা জাতীয় স্তর থেকে।সবাই কম বেশি জানেন India Book of Records এর নাম।সেখানে নাম তোলা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেই সংস্থার পক্ষ থেকে মিললো স্বীকৃতি সমাজসেবী হিসাবে। এই সংস্থা বা সংস্থার পুরস্কার এর ব্যাপারে ২০১৪ সাল থেকে বহু শুনেছি। আমি যে পাবো কখনো ভাবিনি। আমি জাস্ট indian book of records er site e giye apply er জন্য রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। তার ঠিক ১০ দিন পর সংস্থা থেকে আমার মেলে মেল আসে যে একটা লিংক পাঠানো হয়েছে ওখানে গিয়ে সমাজ সেবার কাজের প্রামান্য নথি নিয়ে অ্যাপ্লাই করতে। ২০০৭ থেকে এখনো পর্যন্ত যা সমাজসেবার কাজ করেছি তার যাবতীয় সব ছবি, ভিডিও মেল করে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার ঠিক ১৫ দিন পর আবার মেল আসে যে আরো তথ্য লাগবে। এই তথ্যে ওরা সন্তুষ্ট নয়। আবার পাঠানো হলো আরো বহু তথ্য । তার ৭ দিন পর আবার মেল আসে জানায় যে এতেও তারা সন্তুষ্ট নয় । আরো কিছু দরকারী তথ্য দিতে হবে তারপর সেগুলোও পাঠালাম। তার ৩ দিন পর আবার মেল করে জানায় যে আরো কিছু দরকারী তথ্য লাগবে সেগুলোও পাঠালাম। অবশেষে ২৯/০৩/২০২৩ এ মিলেছিলো কনফার্মেশন। কনফার্মেশন পাওয়ার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় হাতে পেলাম এই মহা মুল্যবান পুরস্কার। যেটুকু বুঝলাম এই পুরস্কার পাওয়ার একমাত্র মাপকাঠি হলো ধারাবাহিক ভাবে সমাজসেবার কাজ করে যেতে হবে মিনিমাম ৩ বছর।তাও কাজ করতে হবে নিরবিচ্ছন্ন ভাবে । যাই হোক যেকোনো পুরস্কার মন ভালো করে দেয়। এই পুরস্কার আমার একার নয় এই পুরস্কার সবার। যারা ২০০৭ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত আমার সমাজ সেবার কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছে।সর্বোপরি ধন্যবাদ আমার পূর্নাঙ্গিনীকে যে না থাকলে আমি সমাজসেবার কাজ করতেই পারতাম না। সাথে আমার পুরো টিম যারা ২০১৯ এর করোনা পরবর্তী সময়ে প্রতিটা সমাজসেবার কাজে পাশে থেকেছে সাথে সাথে আমার সকল প্রিয় দুঃস্থ অসহায় মানুষ দেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ যাদের প্রানঢালা আশীর্বাদে আজ এই প্রাপ্তি ও স্বীকৃতি। 
Dr Ajay Mandal
Ajay Mondal
#Indianbookofrecords

‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজ করছেন’, রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর।



     এবার রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করে সমালোচিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সিউড়ির পুরন্দরপুরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বসলেন। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি বহু বেআইনি কাজ করছেন। শুভেন্দুর কাছে সেসব তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেছেন। রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে ‘ঝগড়া-ভালবাসার বিষয়’ রয়েছে, এই সুরে কটাক্ষ করতে শোনা গেল তাঁকে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি বিরোধী দলনেতার এহেন নজিরবিহীন আক্রমণে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

বৃহস্পতিবার সিউড়ির (Suri) পুরন্দরপুরে এক কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত সপ্তাহে সেখানে এক সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে আজ শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রার আয়োজন করেন ভক্তরা। তাতে যোগ দিতেই সিউড়ি যান শুভেন্দু। শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। শুভেন্দুর কথায়, ”সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করেন। আমার কাছে তথ্য আছে। রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে অনেকভাবে সাহায্য করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা ঝগড়া-ভালবাসার সম্পর্ক আছে।”
বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, ”আমি গভর্নরের উপর নির্ভর করে রাজনীতি করি না। উনি কিছু কিছু বেআইনি কাজ করছেন। যেমন নির্বাচন কমিশন বীরেন্দ্রকে সরিয়েছে, তারপরে উনি বীরেন্দ্রকে তথ্য কমিশনার করে দিয়েছেন। লোকায়ুক্ত পদে অসীম রায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন। আমি অন্যায় দেখলে আদালতে যাবই।” তাঁর এই আক্রমণকে অবশ্য তেমন গুরুত্ব দেননি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ”উনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মতপ্রকাশের অধিকার তাঁর আছে, তিনি সেটাই করেছেন।”

তবে রাজ্যের শাসকদল তীব্র ভাষায় এর নিন্দা করেছেন। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”যে ভাষায় শুভেন্দু আজ রাজ্যপালকে আক্রমণ করল, তা সমস্ত শিষ্টাচারের ঊর্ধ্বে, সৌজন্যের বিরুদ্ধে। আসলে শুভেন্দুদের একটা প্রতিহিংসার রাজনীতি রয়েছে। ওদের জনগণের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। সবটাই ওদের করে দিতে হয়। জগদীপ ধনকড়ের সময় তো এই শুভেন্দুরাই দিনরাত পার্টি অফিসের মতো রাজভবনে ঘুরে বেড়াত। এখনকার রাজ্যপাল কিছু বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একমত হচ্ছেন, কিছু বিষয়ে হচ্ছেন না। সেটা শুভেন্দুদের সহ্য হচ্ছে না। ও কী ভেবেছে কী? রাজ্যপাল পদ কি অধিকারীদের প্রাইভেট লিমিটেড?”

"সমস্ত খবরের জন্য নন্দীগ্রাম ২৪ নিউজ "

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার এজলাসে এলেন না...

 বুধবার মাত্র ১০ মিনিটের জন্য এজলাসে এসেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সারা দিনে একবারও এজলাসে এলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এহেন পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট পাড়া সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
শুক্রবার কি কোনও পর্যবেক্ষণ জানাবে সর্বোচ্চ আদালত, বা নির্দেশ দেবেন হাইকোর্টকে (Calcutta High Court)?বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় টেলিভিশনে সাক্ষাত্‍কার (Justice Abhijit Ganguly TV Interview) দিয়েছেন কিনা তা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হলফনামা আকারে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বেঞ্চ। শুক্রবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করার কথা। সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে এও জানিয়েছে যে, কোনও বিচারপতির এজলাসে চলতে থাকা মামলা সম্পর্কে যদি তিনি টেলিভিশনে সাক্ষাত্‍কার দেন, তা হলে ওই সব মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়াই শ্রেয়'। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে তেমনটা হতেই পারে বলে মনে করছেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত হয়নি সাক্ষাত্‍কারে ওই কথা বলা:
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য মঙ্গলবার এজলাসে বসে বলেছিলেন, তাঁর সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্নের জবাব তিনি দেবেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সম্ভবত সেই রিপোর্ট তৈরির ব্যাপারেই ব্যস্ত ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।তবে মঙ্গলবার এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেছিলেন যে, কেউ বা কারা রটিয়ে দিয়েছে যে তিনি ইস্তফা দিতে পারেন। কিন্তু পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই তিনি শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়তে চান।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আরও আগে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল:
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা এক মামলার শুনানি প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিভিশন সাক্ষাত্‍কারের ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে অভিষেককে জেরা করবার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অভিষেক। তার পর হাইকোর্ট তথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর শুক্রবার পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার মামলার শুনানি হবে। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্টও পেশ হবে। এখন দেখার টেলিভিশনে সাক্ষাত্‍কারের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট ব্যাখ্যা দেখে কী নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সরতে পারে শিক্ষক নিয়োগ মামলা, স্পষ্ট ইঙ্গিত সুপ্রিম কোর্টের

জেলে মুখোমুখি হতে চলেছে বাবা-মেয়ে।

দীর্ঘটানা পোড়েনের পর অবশেষে ইডি বাগে পেয়েছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে। গতকাল রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করা হয়েছিল তাঁকে। আদালত তাঁকে ৩ দিনের ইডি হেফাজতেক নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্রের খবর কেষ্ট এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছে তদন্তকারীরা।
মেয়ে ইডির হেফাজতে জেতেই কেষ্ট সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে ফেক কেস করেছে।

এদিকে সূত্রের খবর ইডি বৃহস্পতিবার সুকন্যা মণ্ডলকে আদালতে পেশ করার আগে একেবারে আটঘাঁট বেঁধে নেমেছিলেন ইডি। সুকন্যাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা আর্জি জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কেন তাঁরা হেফাজতে নিতে চাইছেন তার বিস্তর প্রমাণ আদালতে পেশ করেছিল ইডি। শেষ পর্যন্ত ইডি হেফাজতই দিয়েছে আদালত। তিন দিন পরে ফের আদালত সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় ঠাঁই হবে সুকন্যার তিহাড় জেল না ইডির হেফাজত।

জানা যাচ্ছে সুকন্যা মণ্ডলকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরে ২ বার তাঁকে জেরা করার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তিু তাতে সাড়া দেননি সুকন্যা মণ্ডল হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। একাধিকবার নোটিসও তাঁকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি হািজরা দেননি। তারপরেই চরম পদক্ষেপ করে ইডি।

মনে করা হচ্ছে কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির সিংহভাগটাই রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে কীভাবে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি তার কোনও সদুত্তর তিনি ইডিকে দিতে পারেননি। তাই সুকন্যা এবং কেষ্টকে মুখোমুখি বসিয়ে আসল হিসেবটা বের করতে চাইছে ইডি। মনে করা হচ্ছে জেরার শুরু দিন থেকেই বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে।

এর আগে একাধিকবার জেরায় সুকন্যা মণ্ডল দাবি করেছিলেন তাঁর নামে সম্পত্তি থাকলেও তিনি তার কিছুই জানেন না। সবটাই জানে তাঁর বাবা না হলে তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। এখন তিনিও জেলে রয়েছেন। সায়গল হোসেনকে গ্রেফতারের পর থেকে একেবারে বৃত্ত ধরে যে ধরপাকড় ইডি শুরু করেছিল সুকন্যার গ্রেফতারিতে এক প্রকার সেই বৃত্ত পূর্ণ হল বলা চলে।


১১টি নতুন নার্সিং কলেজ পাচ্ছে বাংলা, কোথায় কোথায় জানেন?

 পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) ঘোষণা করেছিলেন, দেশজুড়ে ১৫৭টি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নার্সিং কলেজও (Nursing College) তৈরি করা হবে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত জানাল, এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হবে ১১টি নার্সিং কলেজ।
একটি কলেজে নার্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী। পড়ানো হবে বিএসসি (নার্সিং) কোর্স। প্রতিটি নার্সিং কলেজ পিছু কেন্দ্রের খরচ হবে ১০ কোটি টাকা।

জানা গিয়েছে, রাজ্যে নার্সিং কলেজেগুলি হবে উলুবেড়িয়া, বারাসাত, ডায়মন্ড হারবার, আরামবাগ, বীরভূমের রামপুরহাট, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, তমলুক, জলপাইগুড়িতে। নার্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে বহু তরুণী দেশের চাকরি ছেড়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন, বুধবার বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি পরিসংখ্যান দেন, দেশে নার্সিং প্রশিক্ষণের আসন রয়েছে ১.১৮ লক্ষ। যদিও নার্সের চাহিদা এর চেয়ে অনেকটাই বেশি। সেকথা মাথায় রেখেই নতুন করে দেশের ১৫৭টি জায়গায় নার্সিং কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। যার জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ১৫৭০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ব্রিটেনে ২৬ হাজার, উপসাগরীয় দেশগুলিতে ২০ হাজার, আমেরিকায় ১৬ হাজার, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ হাজার, কানাডায় ৫ হাজার ভারতীয় নার্স চাকরি করেন। এইসঙ্গে দেশে চিকিত্‍সা যন্ত্রাংশ তৈরির বিষয়ে জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। বর্তমানে ৭৫ শতাংশ চিকিত্‍সা যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এই শতাংশের হার কমাতে বদ্ধপরিকর আত্মনির্ভর ভারত, বুধবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

নার্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে বহু তরুণী দেশের চাকরি ছেড়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন, বুধবার বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
এইসঙ্গে দেশে চিকিত্‍সা যন্ত্রাংশ তৈরির বিষয়ে জোর দিয়েছে কেন্দ্র।

Wednesday 26 April 2023

ঠান্ডা মাথায় অপারেশন! চিনে নিন মালদার স্কুলের বন্দুকবাজের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া 'হিরো'কে...


এই রকম ঘটনা যে বাংলাতেও ঘটবে তা কেউ ভেবে উঠতেই পারেন না! ভেবে উঠতে না পারলেও সেই রকমই একটি ঘটনা ঘটে গেল বুধবার দুপুর বেলা। মালদার একটি স্কুলে (Malda School) বন্দুক এবং পেট্রোল বোমা হাতে হঠাত্‍ ক্লাসরুমে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি।

#nandigram24news

তারপর কি কি ঘটল মোটামুটি প্রত্যেকেই জানেন।

স্কুলে পড়ুয়াদের সামনেই ওই ব্যক্তির বন্দুক উঁচিয়ে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে যাচ্ছিলেন। তবে বুধবারের এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে যেভাবে ঠান্ডা মাথায় অপারেশন চালানো হয় তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ওই বন্দুকবাজকে কাবু করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

স্কুলের মধ্যে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়া ওই বন্দুকবাজকে কাবু করতে সাংবাদিক সেজে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ ধরে তার সঙ্গে কথা বলেন। এরই মধ্যে জীবন হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় এক যুবককে। যে যুবকের তত্‍পরতাতেই হয়তো বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায় মালদার ওই স্কুলটি, ক্লাসের খুদেরা সুরক্ষিতভাবে ফিরে যান নিজের নিজের বাড়ি।

তবে প্রশ্ন হল এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দুকবাজকে কাবু করার জন্য যে যুবক ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি কে? বন্দুকবাজের হাত থেকে শত শত পড়ুয়াকে রক্ষা করে তিনি রাতারাতি হিরো হয়ে উঠেছেন। তিনি আসলে অন্য কেউ নন, তিনি উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ অফিসার। তিনি হলেন ডিএসপি আজাহারউদ্দিন খান।

স্কুলে ঢুকে পড়া ওই বন্দুকবাজকে কাবু করার জন্য সাদা পোশাকে অন্যান্য পুলিশদের পাশাপাশি আকাশি রংয়ের টি-শার্ট পরে হাজির হন আজাহারউদ্দিন খান। তিনি ওই বন্দুকবাজের সঙ্গে সাংবাদিকের মতই কথা বলতে শুরু করেন। কথা বলতে বলতে যখন ওই বন্দুকবাজ সামান্য অন্যমনস্ক হন তখনই আজাহারউদ্দিন খান তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজের প্রাণের ঝুঁকি ছাড়াও এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ওই ক্লাসে থাকা পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকিও ছিল যথেষ্ট। সামান্য ভুল অথবা অপারেশন সফল নাহলেই বড় কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তবে ডিএসপি আজাহারউদ্দিন খান বিচক্ষণতার সঙ্গে পুরো বিষয়টি সামাল দেন।

অপারেশন সফল করার পর আজাহারউদ্দিন খান জানিয়েছেন, "এতগুলো পড়ুয়ার প্রাণ বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি কঠিন হলেও ঈশ্বর ও উপরওয়ালার আশীর্বাদে সফল হয়েছে।"
#Nandigram24news

Tuesday 25 April 2023

আজই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা প্রকল্পের টাকা ঢুকবে, নবান্ন থেকে পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

আজ নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক অনুষ্ঠান থেকে নানা সামাজিক প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রত্যেকটি দফতরের মন্ত্রী, সচিব ও জেলাশাসকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও হবে। দুপুর ১টায় সেই অনুষ্ঠান রয়েছে। ষষ্ঠ দফার দুয়ারে সরকারে নাম তোলা মোট ৪০ লক্ষ ৯৪ হাজার উপভোক্তাকে পরিষেবা প্রদান করা হবে আজ।
#nandigram24newsএর জন্য সরকারের খরচ হবে ৩২৭ কোটির বেশি টাকা। যে সমস্ত প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করা হবে সেই প্রকল্পগুলি হল-ঐকশ্রী, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা , লক্ষ্মীর ভাণ্ডার , বিধবা ভাতা, কৃযক বন্ধু, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী ও অন্যান্য় প্রকল্প।

রাজ্যের নানা সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আজই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হবে। মোট ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৫৪ জন নতুন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও কৃষক বন্ধু প্রকল্পেও টাকা পেতে শুরু করবেন কৃষকরা। এই প্রকল্পে নতুন উপভোক্তার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৪৬ জন। কন্য়াশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬২ জন। বিধবা ভাতা পাবেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪৯ জন উপভোক্তা। সব থেকে বেশি ১০৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬১৬ জন উপভোক্তা বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ উপভোক্তাকে আজ পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী।এর জন্য সরকারের খরচ হবে ৩২৭ কোটির বেশি টাকা। যে সমস্ত প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করা হবে সেই প্রকল্পগুলি হল-ঐকশ্রী, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা , লক্ষ্মীর ভাণ্ডার , বিধবা ভাতা, কৃযক বন্ধু, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী ও অন্যান্য় প্রকল্প।

রাজ্যের নানা সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আজই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হবে। মোট ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৫৪ জন নতুন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও কৃষক বন্ধু প্রকল্পেও টাকা পেতে শুরু করবেন কৃষকরা। এই প্রকল্পে নতুন উপভোক্তার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৪৬ জন। কন্য়াশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬২ জন। বিধবা ভাতা পাবেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪৯ জন উপভোক্তা। সব থেকে বেশি ১০৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬১৬ জন উপভোক্তা বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ উপভোক্তাকে আজ পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর জন্য সরকারের খরচ হবে ৩২৭ কোটির বেশি টাকা। যে সমস্ত প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করা হবে সেই প্রকল্পগুলি হল-ঐকশ্রী, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা , লক্ষ্মীর ভাণ্ডার , বিধবা ভাতা, কৃযক বন্ধু, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী ও অন্যান্য় প্রকল্প।

রাজ্যের নানা সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আজই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হবে। মোট ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৫৪ জন নতুন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও কৃষক বন্ধু প্রকল্পেও টাকা পেতে শুরু করবেন কৃষকরা। এই প্রকল্পে নতুন উপভোক্তার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৪৬ জন। কন্য়াশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬২ জন। বিধবা ভাতা পাবেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪৯ জন উপভোক্তা। সব থেকে বেশি ১০৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬১৬ জন উপভোক্তা বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ উপভোক্তাকে আজ পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
#nandigram24news

মমতাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না ! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

  কলকাতা হাইকোর্টে এজলাসে বসে হালকা মেজাজে এক বার বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও খারাপ কথা বলতে চান না। আবারও এজলাসে বসে একই কথা জানালেন বিচারপতি। সাধারণ মানুষের প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ''মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।''

Nandigram24news

মঙ্গলবার এজলাসে বসেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েক জন সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: দেখতে পাচ্ছি অনেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেকের মুখ শুকনো হয়ে গিয়েছে। কী হয়েছে ?

এক ব্যক্তি হাতজোড় করে: শুনলাম। আপনি চলে যাচ্ছেন।

বিচারপতি: আমি চলে যাচ্ছি? আমি কোথাও যাচ্ছি না! তবে হ্যাঁ, এক দিন তো সবাইকে চলে যেতেই হবে। এই সব বাদ দিন।

ওই ব্যক্তি: যা শুনছি, তা থেকেই বলছি। যোগ্যরা যোগ্য স্থান পান না

ইস্তফা দিচ্ছি না: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! বললেন, সাক্ষাত্‍কার দিয়েছি যখন, উত্তর আমাকে দিতেই হবে। 'মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন, কেন খারাপ বলব?' বললেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়


বিচারপতি: এই সব কথা ছাড়ুন। মামলার বিষয়ে কথা বলুন। তা ছাড়া আমি তো এত দিন ছিলাম না। আমার পরে অন্য কেউ আসবেন।


ওই মহিলা: সাংবিধানিক পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে এই সব বেআইনি নিয়োগ নিয়ে কথা বলছেন? যোগ্যরা কি বঞ্চিত হয়েই থাকবে?


বিচারপতি: রাজনৈতিক কথা বলবেন না। মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।

Nandigram 24 News আমাদের চ্যানেল ফলো করুন।

‌ গোপন ব্যালটে পছন্দের বার্তায় পঞ্চায়েত ভোটে নয়া কৌশল নিয়ে জল্পনা

 প্রথম দিনেই জনসংযোগ যাত্রার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই যে মূল উদ্দেশ্য তাঁর এই সফরের সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।


কোচবিহারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ব্যালট পেপার দেখিয়ে বলেছেন, আপনিই বেছে নেবেন প্রার্থী।

#nandigram24news


আগে থেকেই জল্পনা চলছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় কোনও পরিকল্পনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিদির দূত, দিদির রক্ষা কবচের পর এবার গোপন ব্যালট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কোচবিহারের সভা থেকে বলেছেন, 'এই ব্যালট পেপার সকলকে দেওয়া হবে। সেখানে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর নাম জানানো যাবে। এটি গোপান ব্যালট। আপনার নাম বা কিছু থাকবে না। এটি পূরণ করে ব্যালট বক্সে ফেলে দিন। তারপর মানুষ যাঁকে মান্যতা দেবে, তৃণমূল তাঁকেই প্রার্থী করে জেতাবে। বাংলায় ৩৩৪৩টি পঞ্চায়েত রয়েছে। সব জায়গায় আমি যাব। মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে ছাড়ব।'


যাঁরা ব্যালট বক্সে ভোট দিতে পারবেন না তঁদের জন্য টোল ফ্রি নম্বরও দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, যাঁরা ব্যালট বক্সে ভোট দিতে পারবেন না, তাঁদের জন্য ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম, বুথের নাম ও আসন নম্বর উল্লেখ করে পছন্দের প্রার্থীর নাম জানান। একশোটি ভোটের মধ্যে ৫১ জন মানুষ যে প্রার্থীকে চাইবেন তাঁকেই শাসক দল সেই এলাকার প্রার্থী করবে।


সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, 'মানুষ যাঁকে নিজের এলাকার প্রার্থী বলে চাইবেন দল সর্বশক্তি দিয়ে তাঁকে জিতিয়ে আনবে। মানুষই ঠিক করবে মানুষের প্রার্থী কে।' তিনি আরও বলেছেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছে। তার আগেই আমরা রাস্তায় নেমে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। কারণ একজন বিধায়ক বা সাংসদ উন্নয়ন করতে চাইলেও পঞ্চায়েতে সঠিক প্রতিনিধি না থাকলে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়।'


এদিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আগামী পঞ্চায়েতে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ নয়, মোদীজির ৫৬ ইঞ্চির ছাতি নয়, বালাকোটের নামে নয়, আপনার বাড়ির শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে ভোট দিতে হবে। গ্রামে যাতে রাস্তা হয় এবং একশো দিনের কাজের টাকার দাবি যাতে দিল্লির বুক থেকে আপনি ছিনিয়ে আনতে পারেন, সেই জন্য ভোট দিতে হবে। নিজের অধিকার বুঝে নিতে, নিজের প্রার্থীকে বেছে নিতে ভোট দিন'


By Nandigram 24 News 


source: oneindia.com

রাজভবন আটকে রাখছে বিল! সুপ্রিম কোর্ট ধাক্কা দিতেই স্পিকার বললেন আর কত দিন..

 বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল (bills) রাজ্যপালেরা (governors) কতদিন সম্মতি (decision) না দিয়ে আটকে রাখতে পারেন তা নিয়ে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিতর্ক চলছে বহুদিন। সেই তালিকায় প্রথম থেকেই আছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দ বোস তাঁর পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের মতোই বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রেখেছেন।

ফলে সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাচ্ছে না। বিরোধীরা যে পদক্ষেপকে রাজ্যপালদের 'বিল-রাজনীতি' বলে অভিহিত করছে। কারণ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিধানসভায় বিল পাশ হওয়ার পরদিনই রাজ্যপালদের সম্মতি দেওয়ার একাধিক দৃষ্টান্ত বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাজ্যপালের এই ব্যাপারে নিজেদের ইচ্ছানুসারে চলতে পারেন না। তাদের যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে 'দ্য ওয়াল'-কে বলেছেন, 'আমি মনে করি সংবিধান রক্ষার লক্ষ্যে শীর্ষ আদালতের উচিত হবে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যপালদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া।' তাঁর মতে, তেলঙ্গনার রাজভবনের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট যে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে তা সব রাজ্যপালের উদ্দেশেই বার্তা। সুতরাং বাংলার রাজভবনে আটকে থাকা বিলগুলিও এবার ছাড়া উচিত রাজ্যপালের।

এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।বিমান বলেন, 'রাজ্যপালরা দিনের পর দিন বিল ফেলে রাখতে পারেন না। সংবিধানে নির্দিষ্ট কোনও সময়ের উল্লেখ নেই ঠিকই। কিন্তু তাই বলে রাজভবনে দীর্ঘদিন ধরে কোনও বিল কারণ ছাড়া ফেলে রাখা অসাংবিধানিক, অনৈতিক। এতে সরকারের কাজে বিলম্ব ঘটে।'স্পিকার বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, আমার ব্যক্তিগত মতামত রাজভবনে কোনও বিল পাঠানোর পর সেই বিল যদি দিনের পর দিন কোনও কারণ ছাড়া ফেলে রাখেন, তাহলে ৬ মাস পর সেই বিল পাশ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে, এই মর্মে আইন ও সংবিধানিক বিধি চালু করা হোক।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজ্য সরকারের মামলায় বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতির বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদটির ব্যাখ্যা দিয়ে। তেলেঙ্গানার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের অভিযোগ, তিনি প্রায় দশটি বিল আটকে রেখেছেন।সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদটির ব্যাখ্যা করে বলেন, সেখানে বলা আছে রাজ্যপালরা বিল হাতে পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব সেটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিচারপতিরা বলেন, ওই অনুচ্ছেদে উল্লেখিত 'অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল' তথা যত শীঘ্র সম্ভব কথাটি রাজ্যপালদের সর্বদা বিবেচনায় রাখতে হবে।মঙ্গলবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণে আমি খুশি। তবে এটা আরও আগে হলে আরও ভাল হত। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে, এতে সত্যিই আমরা খুশি।'

Monday 24 April 2023

নিরপেক্ষ খবর

 নন্দীগ্রাম এলাকায় এই প্রথম সংবাদ জগতে এক অন্য মাত্রা নিয়ে এসেছে নিরপেক্ষ খবর পরিবেশন করতে এক নতুন চ্যানেল... 👉

Nandigram 24 News

Youtube Link 👇https://youtube.com/@Nandigram24news

আপনার এলাকার যে কোনো খবর ভিডিও তুলে পাঠিয়ে দিন বা ফোন করুন ফেসবুক পেজে মোবাইল নং দেওয়া আছে, আমরা খবর সম্প্রচার করবো।

অবশ্যই page ফলো করবেন।

#nandigram24news

তৃণমূল করার অপরাধে শুভেন্দুর বিধানসভায় নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় পানীয় জল বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় ধরনা মহিলাদের

তাদের একমাত্র অপরাধ একুশের বিধানসভা  (Nandigram Assembly Election 2021 ) নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিয়েছিলেন। এ...