Wednesday 31 May 2023

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সারদা কর্তার চিঠি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আদালতের

 সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দুর অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। তৃণমূল (TMC)নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ওই চিঠির অভিযোগ সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে বলার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
মুখ্য নগর দায়রা আদালত শুনানির পর চিঠির বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুণালের আইনজীবী অয়ন বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন। 

এর আগে জেল থেকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এক চিঠিতে অভিযোগ করেন কাঁথি পুরসভা নগদ এবং ড্রাফটে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। চিঠিতে সুদীপ্তর আরও অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু ওই টাকা দেওয়ার জন্য সারদা কর্তাকে নানাভাবে চাপ দিয়েছিলেন। ওই চিঠির ভিত্তিতে কেন শুভেন্দুকে সিবিআই গ্রেফতার করছে না, এই প্রশ্নে বহুদিন ধরেই সরব কুণাল। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের আরও অনেক নেতাই বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রশ্ন তুলছেন, সারদা কর্তার চিঠিতে শুভেন্দুর নাম থাকা সত্ত্বেও কেন সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করছে না। পাশাপাশি নারদ কাণ্ডে শুভেন্দুকেও তোয়ালেতে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে টিভির ফুটেজে। তারপরও কী করে শুভেন্দু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গিয়েছেন, সেই ইস্যুতেও তৃণমূল নেতারা হইচই করছেন বেশ কিছুদিন ধরে। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়ার পর শাসকদল শুভেন্দু ইস্যুতে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করেছে। 

কয়েকদিন আগেই কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে কাগজপত্র দেখিয়ে দাবি করেন, সারদা কর্তার কাছ থেকে কাঁথি পুরসভা ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল কি না, তা অধিকারী পরিবারকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। তাহলেই দুধ কা দুধ পানি কা পানি পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেন সুদীপ্ত সেনের ওই চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না, কেন শুভেন্দুকে সিবিআই তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে না, কুণাল সেই প্রশ্নও তোলেন ওই সাংবাদিক বৈঠকে।

Tuesday 30 May 2023

রাজ্যে বিভিন্ন পদে ১ লাখ ২৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 রাজ্যে বিপুল কর্ম সংস্থানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার পদে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, নার্স, অঙ্গনওয়াড়ি, পুলিশ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে এই নিয়োগ হবে বলে মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে ১১ হাজার ও উচ্চপ্রাথমিকে সাড়ে ১৪ হাজার প্রার্থী নিয়োগ করা হবে। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০০ অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। পাশাপাশি গ্রুপ-ডি পদে ১২ হাজার, গ্রুপ-সি পদে ৩ হাজার, নার্স ৭ হাজার, পুলিশে ২০ হাজার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ৯৪৯৩ কর্মী নিয়োগ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, এক্সাইজ কনস্টেবল পদে ৩ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরে ২ হাজার চিকিত্‍সক নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন। কমিউনিটি হেল্থ বিভাগে ২ হাজার এবং ৭ হাজার আশাকর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে আরও ১৭ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে আগামী এক বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

৭৮-এ নতুন ইনিংস শুরু, দ্বিতীয় বিয়ে করলেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠ! পাত্রী কে?




দ্বিতীয় বিয়ে করলেন লক্ষণ শেঠ৷

হলদিয়া: কয়েক দিন ধরেই হলদিয়া জুড়ে কানাঘুষো খবর ছড়িয়ে পড়েছিল৷ কিন্তু অনেকেই এই খবরকে নিছক গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে লক্ষণ শেঠ নিজেই সুখবরটা দিলেন নিউজ ১৮ বাংলাকে৷ হলদিয়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ এবং বর্তমান কংগ্রেস নেতা নিজেই জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন তিনি৷
লক্ষণ শেঠের বর্তমানে ৭৮ বছর বয়স৷ ২০১৬ তাঁর প্রথম স্ত্রী এবং মহিষাদলের প্রাক্তন বিধায়ক তমালিকা পণ্ডা শেঠের মৃত্যু হয়৷ লক্ষণ এবং তমালিকার দুই ছেলেও রয়েছে৷ লক্ষণ শেঠ জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই প্রবল একাকিত্বে ভুগছিলেন তিনি৷ সেই কারণেই দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷



যদিও এই মুহূর্তে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় বা বিয়ের ছবি প্রকাশ করেননি লক্ষণ শেঠ৷ তবে প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই এক বন্ধুর মাধ্যমে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷ কয়েকদিনের আলাপেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু জনে৷ লক্ষণ শেঠের দ্বিতীয় স্ত্রী কলকাতার একটি নামী পাঁচ তারা হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরত বলেও জানা গিয়েছে৷

তমালিকা পণ্ডা শেঠের মৃত্যুর আগেই লক্ষণ শেঠকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম৷ লক্ষণকে বহিষ্কার করায় দল ছাড়েন তমালিকাও৷ তমালিকার মৃত্যুর পর তাঁর জন্মদিন পালন সহ স্ত্রীর মৃত্যুর স্মৃতিতে কবিতা সম্মেলন সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান পালন করেছেন লক্ষণ শেঠ৷ নিজে আলাদা রাজনৈতিক দলও তৈরি করেছিলেন৷ এর পর বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি৷

তবে বিজেপি-তেও বেশি দিন থাকেননি লক্ষণ৷ যোগ দেন কংগ্রেসে৷ বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি৷

Monday 29 May 2023

কাঁটাতার টপকে-আসা হিন্দু বা মুসলিম, সকলকে ফিরতে হবে! শুভেন্দুর মত, বিজেপির নয়, বলছেন সুকান্ত

কাঁটাতার পেরিয়ে আসা সকলকেই কাঁটাতারের ওপারে ফিরে যেতে হবে। হিন্দু বা মুসলমান সকলকেই। শনিবার মালদহের জনসভায় এমনটা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিজেপি কাঁটাতার পেরিয়ে আসা মুসলমানদের 'অনুপ্রবেশকারী' মনে করলেও ওপার থেকে আসা হিন্দুদের 'শরণার্থী' মনে করে। তা হলে কি দলীয় নীতির সঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্যের সাযুজ্য রইল?
ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতার সেই মতকে দল অনুমোদন করছে না বলে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ''আমরা কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই না। দলের অবস্থান তা নয়।'' তবে একই সঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, শুভেন্দু এ বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে থাকতে পারেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলে বাকিটা জানবেন।

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে চলেছে রাজ্য বিজেপি। এ ব্যাপারে বাংলার বিজেপি সাংসদেরা তো বটেই, বিজেপি বিধায়কেরাও বহুবার তদ্বির করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা মতুয়া সমাজ ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে দীর্ঘদিন ধরে। যে মতুয়ারা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই আইন সংসদে পাস করালেও তার ধারা তৈরি করতে পারেনি এখনও। উপরন্তু গত জানুয়ারি মাসে সিএএ-র ধারা তৈরির জন্য আরও ছ'মাসের সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকি, এপ্রিলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এলেও সিএএ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এই পরিস্থিতিতে যখন লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিএএ প্রসঙ্গ তুলতে চাইছে না বলে জল্পনা শুরু করেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে, তখনই শুভেন্দু জনসভায় টেনে আনলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ।

শনিবার মালদহের মথুরাপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। শ্রোতাদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকেছো, তাকে কাঁটাতারের বেড়ার ও পারে যেতে হবে। সে হিন্দু হোক আর মুসলিম। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে এলে তার সঙ্গে কোনও ব্যাপার নেই। যে ভারতে জন্মেছো...।'' রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এ ব্যাপারে নিজেদের মতামত জানালেন।

রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত বলেন, ''আমরা কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সিএএ-এর মাধ্যমে বাকিদের নাগরিকত্ব দিতে চাই। এটাই আমাদের দলের অবস্থান। বিরোধী দলনেতা ঠিক কী বলেছেন আমি জানি না। আপনি যা বলছেন সেটা ঠিক হলে মনে হয়, তিনি ব্যক্তিগত মত দিয়ে থাকতে পারেন। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলে জানব, তিনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বলেছেন। তবে, রাজ্যবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।''

Thursday 25 May 2023

ষাট থেকেই শুরু! অসমের মেয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী

প্রেমে নাকি বয়সের হিসাব রাখতে নেই। আর সেই প্রেম যদি পরিণতি পায় বিয়েতে, তা হলে তো তার জেল্লাই আলাদা। শুনতে খুবই সিনেম্যাটিক হলেও বাস্তবে তার প্রমাণ রাখলেন বলিউড অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। ষাট বছর বয়সে এসে ফের বিয়ে করলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা। ২৫ মে অসমের রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি।

কলকাতার একটি ক্লাবেই সম্পন্ন হল তাঁদের শুভ পরিণয়। জন্মসূত্রে অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা হলেও পেশার টানে এখন কলকাতাবাসী রূপালি। কলকাতার ফ্যাশন জগতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ২৫ মে কলকাতাতেই ব্যক্তিগত পরিসরে সইসাবুদ করে আশিস বিদ্যার্থীর সঙ্গে বিয়ে সারলেন রূপালি। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সাদা ও সোনালি শাড়িতে সেজেছিলেন রূপালি, পরনে ছিল ছিমছাম গয়না ও হালকা রূপটান। অন্য দিকে আশিসের পরনে ছিল ঘিয়ে রঙের পঞ্জাবি। আইনি মতে বিয়ে সারার পর সন্ধেবেলায় ছোট একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পরিবার-পরিজন ও কাছের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই নিজেদের জীবনের এই বিশেষ দিনটি উদ্‌যাপন করতে চান আশিস ও রূপালি। 

আশিস জানান, জীবনের এই পর্যায়ে এসে রূপালিকে পাশে পেয়ে তিনি অভিভূত। জীবনের এই আনন্দের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই নিজের বিয়ে উদ্‌যাপন করার সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা। এর আগে শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজশী বড়ুয়ার সঙ্গে সংসার করেছেন আশিস বিদ্যার্থী। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। কী ভাবে রূপালির প্রেমে পড়লেন অভিনেতা? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আশিস জানান, সে নাকি এক লম্বা গল্প। অন্য দিকে, পর্দায় বেশির ভাগ খলচরিত্রে অভিনয় দেখেও আশিসকে মানুষ হিসাবে চিনতে ভুল করেননি রূপালি। আশিসের মানবিকতাই তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল অভিনেতার প্রতি, জানান রূপালি বড়ুয়া।

সৌরভের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ

 বিজেপি শাসিত রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন বাংলার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুললেন কলকাতার মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, সৌরভ গাঙ্গুলি নিজেই একজন আইকন। তাই এই নিয়ে তাঁর কিছু বলা ঠিক হবে না। সে কী করবেন কী না এই সেটা সৌরভের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।

এরপর অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের উধাহরন টেনে তিনি বলেন, অমিতাভ বচ্চন গুজরাটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন। আর জয়া বচ্চন সমাজবাদী সাংসদ। তাহলে কি অমিতাভ বচ্চন বিজেপি করছেন আর জয়া বচ্চন সমাজবাদী পার্টি করছেন? তাঁর মতে এটা সেলেব্রিটি দের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এরপর শারুখের প্রসঙ্গ টেনে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, শাহরুখ বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বলে কি তিনি তৃণমূল করছেন? সুতরাং এই সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজনীতির কচকচানি করা উচিত নয় বলেই মত ফিরহাদের।


এবার মুখ খুললেন অনুপম হাজরা। ফেসবুকে করলেন পোস্ট।

 ফের দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। অভিযোগ, পদে থাকাকালীন অধিকাংশ জেলা বা মণ্ডল সভাপতিরা দলের পদস্থ কর্তাদের পাত্তা দেন না। কিন্তু পদ হারানোর পরই পাল্টে যায় তাঁদের আচরণ। তখন দলের কার্যকর্তাদের কাছে টানার চেষ্টা করতে থাকেন।
অনুপম হাজরার মন্তব্যে বিজেপির অন্দরে ফাটল স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

একুশের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির একাংশের অভিযোগ, নিচুতলার নেতাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না দলের শীর্ষ নেতারা। ফলে মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতিরা অনেক ক্ষেত্রেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে পাত্তা দিচ্ছে না। আবার উপরের স্তরের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে প্রভাবিত হচ্ছে নিচুতলা। 


Monday 22 May 2023

পুকুর পাড়ে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

 পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার অন্তর্গত বাঁকাবেড়িয়া গ্রামে'র মাঝমাঠে পুকুর পাড়ে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রান্নার জ্বালানি খোঁজ করতে মাঠের মাঝ খানে একটি পুকুরের ধারে এলে, সেখানে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
এরপরেই সে দৌঁড়ে গিয়ে খবর দেয় আশেপাশের বাড়ির মানুষজনদের। খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয় কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে এই যুবকের কোনও সঠিক পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

ইডি-সিবিআই ধরবে না, সেই শর্তেই বিজেপির সঙ্গে চুক্তি শুভেন্দুর! 'সাক্ষী আমি', বিস্ফোরক জয়প্রকাশ

 একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়ালেও কেন একবারও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তলব করছে না ইডি- সিবিআই? বারবার এই প্রশ্ন শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। কখনও দাবি করা রয়েছে, তদন্ত ও জেলযাত্রার হাত থেকে বাঁচতেই নাকি বিজেপিতে গিয়েছেন তিনি।
এবার বিস্ফোরক প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরলেন, ঠিক কোন শর্তে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। জয়প্রকাশের দাবি, গোটা ঘটনার সাক্ষী তিনি নিজে।

সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। শুরু থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তারিখ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করেন শুভেন্দুর দলত্যাগ। জয়প্রকাশের দাবি, বিজেপির উদ্দেশ্যই ছিল তৃণমূলকে ভেঙে ফেলা। এই কাজে তাঁরা ব্যবহার করেছিল মুকুল রায়কে। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার নিজে, অরবিন্দ মেনন-সহ অন্যান্যরা। তার আগে দলবদল নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও ওইদিনই দলবদল চূড়ান্ত হয়। জয়প্রকাশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী বারবার প্রশ্ন করেছিলেন, 'আমার ব্যাপারটা ঠিক হয়ে গিয়েছে তো?' কৈলাস বিজয়বর্গীয় আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, 'অমিতজি আছেন তো। কোনও চিন্তা নেই।' হেসে ফেলন মুকুল রায়।

জয়প্রকাশের দাবি, শুভেন্দু জেল যাত্রা আটকানোর জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত ছিলেন। আর সেই শর্তেই বিজেপিতে যোগ। তৃণমূল নেতার দাবি, ৫ নভেম্বর কলকাতার হোটেলে চুক্তিপত্রে সই হয়। ওইদিন ঠিক হয়ে যায়, ইডি-সিবিআই কেউ শুভেন্দুর কিছু করবে না। এরপর ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু। ১৬ ডিসেম্বর ইস্তফা দেন বিধায়ক পদ থেকে। ১৯ ডিসেম্বর যোগ দেন বিজেপিতে। জয়প্রকাশের কথায়, 'ঘটনা চক্রে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল গোটা বিষয়টা সামনে থেকে দেখার। সেই কারণে আজ সবটা প্রকাশ্যে আনতে পারলাম।' এদিন নারদার ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে নিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। দাবি করলেন, নারদার ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। যদিও নির্দেশ ও ভিডিও আসত দিল্লি থেকে। এমনকী শুভেন্দুর নারদার ভিডিও-ও জনসমক্ষে আনা হয়েছে বিজেপির অফিস থেকেই।

এদিন ফের শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। প্রশ্ন তুললেন, কুন্তলের চিঠির ভিত্তিতে অভিষেককে ডাকা হল, আর একই পদ্ধতিতে সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে কেন শুভেন্দু ও তার শাগরেদদের ডাকছে না এজেন্সি?

'ইডি-সিবিআই ধরবে না, সেই শর্তেই বিজেপির সঙ্গে চুক্তি শুভেন্দুর', দাবি জয়প্রকাশ মজুমদারের।
নারদার ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে নিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে মৃত ৩, পুলিশ পৌঁছেই যা উদ্ধার করল তাতে চোখ কপালে সকলের

 এগরার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বজবজ (Budge Budge)। পঞ্চায়েত পূর্বে ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলার মাটি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ঝলসে মৃত ৩। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে একটি দোতলা বাড়ির অস্থায়ী ছাউনির একাংশ ধসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
চারিদিক ধ্বংসস্তূপ, লন্ডভন্ড। সূত্রের খবর, অন্তত পক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের।

সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। তারপরই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। খবর পেয়ে দমকল আসলেও চাপা রাস্তা দিয়ে পৌঁছতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে যা মিললো তাতে চোখ কপালে সকলের। বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পরিমানে শব্দবাজি। যেখানে রাজ্যে তো শব্দ বাজি নিষিদ্ধ সেখানে কিভাবে আড়ালে এত শব্দ বাজি মজুত করা হচ্ছিল সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

পাশাপাশি সেই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বারুদ, সুতুলি দড়ি জাতীয় উপাদানও। যেই বাড়িতে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির দোতলার উপর বাজির গোডাউন তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে সত্যিই সেখানে শব্দ বাজি তৈরী হত নাকি তা আড়াল করে চলতো বোমার কারবার সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে যে এগরার ঘটনার পর কেন এখানে অভিযান চালানো হল না? সত্যিই কী পুলিশ কি কিছুই জানত না? একদিকে এগরার ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বঙ্গে। তারই মধ্যে এবার বজবজের এই ঘটনা যেন আরও কিছুটা ঘি ঢাললো সেই আগুনে। জানা গিয়েছে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

অন্যদিকে, স্বাভাবিকভাবেই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, নবজোয়ারে এনিয়ে আলোচনা হবে কি না জানি না। তবে বাংলার মানুষের এই সরকারের হাতে কতটা সুরক্ষিত থাকবে সেই নিয়ে সংশয়টা রয়েছে। ঘটনার পর এই নিয়ে তৃণমূলের ডাক্তার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, সরকার এই নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে বারংবার অভিযান চালায়।

পাশাপাশি বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, তাপসী মালিককে যে সিপিএম পুড়িয়ে মেরেছিল সেই সিপিএমের মুখে এসব মানায় না। অধীর চৌধুরীকেও মুখেও এসব শোভা পায় না।

শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি

আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। গোটা সাংবাদিক বৈঠক জুড়েই ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাকে নিয়েই চলে চর্চা। তৃণমূল ছাড়া থেকে বিজেপিতে যাওয়া পর্যন্ত তার প্রতি পদক্ষেপের কথা ফের শোনা গেল একবার। দুর্নীতি ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরার নামে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়ে বার বার খোঁচা দিয়েছেন কুনাল। দুর্নীতি ইস্য়ুতে বিঁধে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে জড়িয়ে একের পর এক ট্যুইট করে বোমা ফাটিয়েছেন। এবার উঠছে শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি। বিরোধী দলনেতা আকন্ঠ দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন বলে সুর চড়িয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, গ্রেফতারি থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে যোগ দেন বিজেপি নেতা। পুরনো দিনের কথা স্মরণ করে তৃণমূল নেতা বলেন, ''২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। এরপর ১৯ ডিসেম্বর যান বিজপিতে। তার আগে ১ মার্চ শহিদ মিনারে ছিল শাহী সভা। সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বামেরা। এরপর নভেম্বরের ৫-৬ তারিখে অমিত শাহ রাজ্যে আসতেই যোগদানের শর্ত ফাইনাল হয়। তৃণমূল ত্যাগের সময় তিনটে সরকারি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। ৫টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। বিশাল সাম্রাজ্য তার অধীনে ছিল। দলত্যাগের সময় তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কর্মীরা নাকি দলে যোগ্য সম্মান পাচ্ছে না। করোনা আক্রান্ত হওয়ার সময় বললেন, অমিত শাহ ছাড়া নাকি তার কেউ খবর নেয়নি। শুভেন্দুর যোগদানের সময় মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূলে। নারদা-সারদার তদন্ত চলাকালীন ২০১৬-য় কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপিতে দায়িত্বে এলে দল ছাড়েন মুকুল। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হল তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর। '' এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের পাল্টা তুলোধনা চলে বিজেপির। বার বার উঠেছে শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি। এদিকে একের পর এক সভায় পুলিশ অনুমতি না দিলেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন শুভেন্দু। সদ্যই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে সভা আটকে দেখান বলে।


Saturday 20 May 2023

মদনের মিত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর ভবানীপুর থানায়, কোন দিকে এসএসকেএম সংঘাত

  শুধু মুখের কথা রইল না। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এফআইআর দায়ের করল এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (SSKM hospital Files FIR Against Madan Mitra)। যা মদন বনাম এসএসকেএম সংঘাতকে নতুন মাত্রা দিল বলেই মত অনেকের।চিকিত্‍সক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে মদনের বিরুদ্ধে।
যা নিয়ে মদন বলেছেন, 'আমায় জেলে পাঠাক দেখি কত ক্ষমতা। কিন্তু দয়া করে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিহিংসা নেবেন না।'শুক্রবার রাত থেকে রোগী ভর্তি নিয়ে মদনের সঙ্গে এসএসকেমের সংঘাত শুরু হয়। শনিবার দিনভর তা নতুন নতুন মাত্রা যোগ করে। এসএসকেএমের ডিরেক্টির মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ করেন, মদন হাসপাতালে ঢুকে গুন্ডামি করেছেন। এ নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। পাল্টা মদন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেন। সেইসঙ্গে মণিময়কে আমচা, চামচা, চাকরবাকর বলেও আক্রমণ শানান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এরমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। শনিবার সন্ধ্যায় মদনের রাগ প্রশমিত করতে আসরে নামেন কুণাল ঘোষও। কিন্তু তাতেও সবটা মেটেনি বলেই দাবি। এফআইআরের ভিত্তিতে এবার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে কিনা সেটাই এখন দেখার।

৯ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট পর সিবিআই দফতর ছাড়লেন অভিষেক, বললেন, 'নির্যাস আস্ত একটা অশ্বডিম্ব'

 প্রায় ৯ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার অভিষেককে তলব করেছিল সিবিআই। সকাল ১১ টায় নিজাম প্যালেসে (কলকাতায় যেখানে সিবিআই দফতর রয়েছে) পৌঁছন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাজিরা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে।
ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে 'চাপ' দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়েও চিঠি পাঠান হেস্টিংস থানাতেও। তার পরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। পরে একই নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অভিষেক। এর মধ্যেই শনিবার অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

অভিষেককে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে, 'নবজোয়ার' কর্মসূচি বন্ধ করতেই অভিষেককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ''কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে যদি অভিষেককে ডাকা হয়। তা হলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন তলব করা হবে না।'' অভিষেককে সিবিআই তলব নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার টুইটারে লেখেন, ''বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এ বার ঘুঘু তোমার বধিব পরান।'' বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ''আদালতের নির্দেশে সিবিআই তলব করতে বাধ্য হয়েছে। ওঁর উচিত, তদন্তে সহযোগিতা করা।''

SSKM নিয়ে বড়সড় বিতর্কে মদন মিত্র, শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দলের


 এসএসকেএমে (SSKM) রোগী ভরতি করাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে বড়সড় বিতর্ক বাঁধিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। শনিবার দিনভর এনিয়ে টানাপোড়েন চলেছে। দফায় দফায় তিনি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দেগেছেন। সন্ধেবেলায় সেই আক্রমণের সুর আরও চড়িয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)সঙ্গে দেখা করার পর তিনি এসএসকেএমের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেই তাঁকে আক্রমণ করলেন। এদিকে, কামারহাটির বিধায়ককে নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধায় সাবধানী তৃণমূল। তাঁকে ডেকে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষার কথা বলা হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।


শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে যান খোদ মদন মিত্র। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সরকারি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল বয়কটের ডাক দেন তিনি। পালটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও মদন মিত্রর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পদক্ষেপ নেয়। এ বিষয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সেখানকার অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়কের আচরণকে গুন্ডামির সঙ্গে তুলনা করে তিনিও সাংবাদিক বৈঠক করেন। তার পালটা জবাবে মদন মিত্র বলেন, ”আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকর, কিন্তু কোনও চাকরবাকরের কথা সহ্য করব না। দরকারের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব, টিউশন করব। উনি আমায় কী দিয়েছেন? ৫ বছরে পাঁচ মিনিটও সময় দেননি।”
এসবের পর সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। প্রায় আধঘণ্টা কথাবার্তা চলে মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল বিধায়ক জানান, ”কুণাল ছোট ভাইয়ের মতো। এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। একটু চা খেয়ে গেলাম।” তাঁকে এসএসকেএম নিয়ে প্রশ্ন করতেই ফের বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এবার সরাসরি ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেই বলেন, ”মণিময়বাবুর বডি ল্যাঙ্গোয়েজই আলাদা। যেন ‘দেখে নেব’ বলে শাসাচ্ছেন। কে উনি?”


সারদার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কাঁথি পুরসভায়? শুভেন্দুকে বিঁধে বিস্ফোরক কুণাল

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের দিনেই এবার বিরোধী দলনেতাকে একহাত নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠির ভিত্তিতে অভিষেককে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আর এক জেলবন্দি সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা বা গ্রেফতার করা হবে না, তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।
একইসঙ্গে টুইটেও কাঁথি পুরসভায় সারদার 'টাকা জমা' নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার।

নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের একটি চিঠি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে। যা নিয়ে শুক্রবারের পর শনিবারও সুর চড়ালেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।


কুণাল ঘোষের দাবি, জেলবন্দি সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনও আদালতে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম আছে বলে দাবি তাঁর। যে যুক্তিতে অভিষেককে সিবিআই ডাকল, ওই একই যুক্তিতে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন সিবিআই ডাকবে না তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা। টুইটে এদিন কাঁথি পুরসভায় সারদার 'টাকা জমা' নিয়ে একটি বিবিৃতি লিখেছেন কুণাল। ওই ঘটনা সত্যি হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও আবেদন জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।


তিনি টুইটে এদিন লিখেছেন, 'সারদাকর্তার কোর্টে লেখা চিঠি নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আগে দেখা হোক কাঁথি পুরসভায় সারদার ৫০ লক্ষ টাকা জমা আছে কিনা। ( নগদ আলাদা) । যদি থাকে, সেটা উদ্ধার হোক এবং যারা চাপ দিয়ে বেআইনিভাবে টাকাটা নিয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ, তাদের গ্রেফতার করা হোক।'

Friday 19 May 2023

'CPM আমলে ১ মিনিটে ভরতি করা যেত', অব্যবস্থার অভিযোগে SSKM বয়কটের ডাক মদনের

 সরকারি হাসপাতাল নিয়ে সাধারণ মানুষের একাংশ নানা অভিযোগ করেন। পরিষেবা নিয়ে অহরহ প্রশ্নও ওঠে। তবে এবার রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুর্ঘটনাগ্রস্তকে হাসপাতালে ভরতি করাতে না পেরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন কামারহাটির বিধায়ক।
তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যসচিব, মন্ত্রীকে জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। শুধু তাই নয়, এসএসকেএম হাসপাতাল বয়কটের দাবিও জানান মদন।

শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় শুভদীপ পাল নামে এক যুবক জখম হন। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে যান খোদ মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়কের দাবি, প্রায় ছ'ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সেই শুভদীপকে রেখে দিতে হয়। হাসপাতালে ঢোকার মুখে পুলিশ এবং কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মেডিক্যাল অফিসারকে ডাকার কথা বলেন তিনি।

মদনের প্রশ্ন, 'ল্যাব টেকনিশিয়ানের যদি এই অবস্থা হয় তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?' এসএসকেএমে দালালরাজের মতো বিস্ফোরক অভিযোগও করেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, 'টাকার খেলা চলছে। টাকা দিলে তবেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায়।' তিনি আরও বলেন, 'ট্রমা কেয়ার তৈরি হয়েছে জনগণের জন্য। কোনও দাদা, বাবা বা অন্য কারও নয়। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আমাকে বলেন, আমায় তো বলছো, কিন্তু কাউকে তো পাব না। পাব না মানে! ট্রমা কেয়ার তো এটা! ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার কথা। ডিরেক্টর এবং এমও কেউ ফোন ধরেন না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও জানান, কাউকে ধরা যাবে না, রাত হয়ে গিয়েছে। আমি মদন মিত্র। এটা সিপিএমের আমল হলে এক মিনিট লাগত ভরতি করতে।'

গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন মদন মিত্র। এসএসকেএম বয়কটের দাবিও জানান। বলেন, 'সে নো টু পিজি। তোমাদের যত টাকা লাগে, হাতের ঘড়ি আংটি বিক্রি করে রোগীর চিকিত্‍সা করাব। রোগী যেতে যেতে যদি মরে যায়, এমও'র নামে কেস দেবেন। মামলা লড়ব আমি। ১০ কোটির ক্ষতিপূরণ। আমরা আসার পর যদি এই অবস্থা হয়, গরিব মানুষগুলোর কী অবস্থা। ভিখারির মতো পড়ে রয়েছে। বাইরে থেকে এসে দালাল ঘুরছে। ট্রমায় ভরতি করতে ১০, ২০, ৫০ হাজার। বিধানসভার সদস্য হিসেবে পিজি'র সুপার, ডিরেক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।'

রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
দীর্ঘক্ষণ ধরে দুর্ঘটনাগ্রস্তকে হাসপাতালে ভরতি করাতে না পেরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন কামারহাটির বিধায়ক।
অব্যবস্থার অভিযোগে SSKM বয়কটের ডাক মদনের।

অন্য বিজেপি, মুসলিম ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন গেরুয়া নেতা

  মণিকা ও মনিস আহমেদ লখনউ বিশ্ব বিদ্যালয়ে সহপাঠী। সেখানেই দু'জনের মন দেওয়া-নেওয়া। দু'জনেই বাড়িতে জানিয়েছেন, বিয়ে করতে চান তাঁরা।
দুই পরিবার সাদরে সায় দিয়েছে সন্তানদের ইচ্ছায়। বলেছে ভালবাসায় আবার জাত-ধর্ম (Muslim Youth) কী! কিন্তু পাঁচজনে কি তা মানে, বিশেষ করে মণিকার বাবা যশপাল পেনাম যেখানে এলাকার পরিচিত বিজেপি নেতা (BJP Leader Daughter) এবং আরএসএসের প্যারেড করা কর্মী।একইসঙ্গে তিনি উত্তরাখণ্ডের পৌরী গারওয়াল নগরপালিকা অর্থাত্‍ পুরসভার চেয়ারম্যান। ২৮ মে তাঁর মেয়ের বিয়ে।
পাত্র-পাত্রীর ছবি ও পরিচয় দিয়ে কার্ড ছাপানো হয়েছে। নিমন্ত্রণপত্র বিলিও প্রায় শেষ পর্যায়ের মুখে। তবে যথারীতি নিমন্ত্রণের কার্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং তেড়ে গাল পাড়ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।নিন্দকদের মুখ বন্ধ করা সহজ নয়, জানাই ছিল। একে তো 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমার কাহিনি নিয়ে উত্তেজনা আছেই। যে সিনেমার মূল বিষয় হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা। তার উপর যশপাল হিন্দুত্ববাদী শিবিরের মুখ, তার উপর উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ডেও চালু আছে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন। ফলে পুলিশ-প্রশাসন যে কোনও সময় এসে পাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, এই বিয়ে কি সত্যিই প্রেমের পরিণতি নাকি ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, এক কথায় যা লাভ জিহাদ।শুধু আইনকানুন আর পুলিশ প্রশাসনই নয়, আছে লাভ জিহাদ বিরোধী 'লেঠেল বাহিনী'। হিন্দুত্ববাদীদের সেই সব সংগঠন খুঁজে বেড়ায় কোথায় হিন্দু-মুসলিম নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেমের বীজ বপন হল। ফলে মণিকা ও মনিসের বিয়ে শান্তিতে সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছেই। কিন্তু মণিকার বাবা, পুরসভার চেয়ারম্যান যশপালের সাফ কথা, 'যারা নিন্দামন্দ করছেন তাদের মাথায় রাখা দরকার, এটা একবিংশ শতাব্দী। আমরা ছেলেমেয়েদের উপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে পারি না। ওদের ইচ্ছাকেও মর্যাদা দিতে হবে।'আরও বলেছেন, 'প্রেম-ভালবাসা-বিয়েকে ধর্মের আতস কাচের নীচে দেখার কোনও অর্থ হয় না। দুই তরুণ-তরুণীর নিজেদের ভাল লাগলে ধর্ম সেখানে গৌণ।' যশপালের এই কথায় তীব্র আপত্তি রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত গৌ সুরক্ষা আয়োগ অর্থাত্‍ কাউ প্রোটেকশন কর্পোরেশনের সদস্য স্থানীয় বিজেপি নেতা ধরমবীর গোঁসাইয়ের সাফ কথা আমরা এই বিয়ে মানতে পারছি। এটা উত্তরাখণ্ডীদের ঐতিহ্যের বিরোধী।

নবজোয়ার থমকাল সিবিআই তলবে, শুক্রবার যেখানে শেষ, সোমে সেখানেই শুরু, ঘোষণা অভিষেকের

বাঁকুড়ার সোনামুখীতে শুক্রবার বিকেলে সভা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, ২২ মে সেই জায়গা থেকেই আবার জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন তিনি। সমাজমাধ্যমে সে কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সাংসদ। টুইটারে অভিষেক লিখেছেন, ''শুক্রবার যেখানে আমি শেষ করছি, সোমবার ২২ মে, সেই জায়গা থেকেই শুরু হচ্ছে আমার জনসংযোগ যাত্রা।
এই ঘটলাবলিতে আমি অবিচলিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আরও উদ্যমী হয়ে, একাগ্র ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সেবা করতে বদ্ধপরিকর।''


বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনামায় পর্যবেক্ষণ ছিল, কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি সিন‌্হা। তিনি জানান, যে কোনও নাগরিকের তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত। বিচারপতি সিন‌্হার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন অভিষেক। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে সেই আবেদন শুনতে চায়নি। জানানো হয়, বেঞ্চের হাতে শুক্রবার আবেদন শোনার সময় নেই। প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয় সেই আবেদন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চও সেই আবেদন জরুরি ভিত্তিতে শুনতে চায়নি। অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করার কথা জানিয়েছে।

এর পরেই অভিষেককে তলব করল সিবিআই। শনিবার নিজাম প্যালেসে (কলকাতায় যেখানে সিবিআই দফতর রয়েছে) সকাল ১১টায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই অভিষেক জানিয়েছিলেন যে, সিবিআই ডাকলে তিনি 'নবজোয়ার' কর্মসূচি স্থগিত রেখে তিনি যাবেন। সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়ার পর শুক্রবারই তিনি কলকাতায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে টুইটও করেছেন তৃণমূল সাংসদ।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে 'নবজোয়ার' কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। যার মূল উদ্যোক্তা অভিষেক। ৬০ দিন ধরে রাজ্যের জেলায় জেলায় জনসংযোগ করছেন অভিষেক। সিবিআইয়ের তলবের কারণে সেই কর্মসূচি স্থগিত রেখে শুক্রবার বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে কলকাতায় ফিরছেন তিনি।

বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক

 বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার এমনই বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হল। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁদের কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে, তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যেন তাঁরা বদলে ফেলেন।

একটি বিবৃতি জারি করে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ব্যাংকে জমা করা যাবে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। একবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। যে কোনও ব্যাংকেই এই নোট জমা করে কিংবা বদলে ফেলে অন্য নোট নেওয়া যাবে। অর্থাত্‍ ২০০০ টাকার নোটকে বৈধ মুদ্রা বলেই গণ্য করা হবে।

Thursday 18 May 2023

এগরা বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডের পাণ্ডা ভানুর মৃত্যু

এগরা বাজি কারখানা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ মারা গিয়েছে। খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ ওরফে কৃষ্ণপদ বাগকে বৃহস্পতিবার ওড়িশার হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বিস্ফোরণের জেরে তার শরীরের ৭০ শতাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। কলাপাতা চাপা দিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় তাকে ধরা হয়।
ঘটনার পরেই দগ্ধ ভানু এগরা থেকে বাইক চালিয়ে প্রায় ২৫০ কিমি পেরিয়ে ওড়িশা যায়। কটকে পৌঁছে ভুয়ো নামে কটকের রুদ্র হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিত্‍সা চলাকালীন শুক্রবার ভোর রাতে ভানু মারা যায়। এর আগেও ভানু বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিল। এবার বিস্ফোরণে নিজেই মারা গেল।

সংসদের নয়া ভবন উদ্বোধনের দিনক্ষণ স্থির, অন্দরসজ্জা দেখলে চোখ ফেরানো দায়

 আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। চলতি মাসেই উদ্বোধন হতে চলেছে নতুন সংসদ ভবন। নব নির্মিত এই সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সংসদ ভবন উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন।
এএনআই সূত্রে খবর, আগামী ২৮ মে উদ্বোধন করা হবে নয়া সংসদ ভবন।

লোকসভা সচিবালয়ের তরফে বলা হয়েছে, নয়া সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভবন আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক। প্রসঙ্গত, বর্তমানে যে ভবনে পার্লামেন্ট চলে সেটি তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতার আগে। ১৯২৭ সালে এটি তৈরি হয়েছিল বলে কথিত রয়েছে।

নতুন সংসদ ভবনের পরতে পরতে শিল্পের ছোঁয়া। এর গঠন অত্যন্ত নান্দনিক। গত বছর নভেম্বর মাসের মধ্যেই নয়া সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ হতে আরও কয়েক মাস লেগে যায়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর, নয়া সংসদ ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ সাল থেকে শুরু হয় পার্লামেন্টের নির্মাণের কাজ। প্রায় ৬৫,০০০ বর্গমিটার জুড়ে গড়ে উঠেছে দেশের নতুন পার্লামেন্ট। টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড এই ত্রিভূজাকৃতি ভবন তৈরির দায়িত্বে ছিল।

প্রথমে বলা হয়েছিল এই ভবন নির্মাণে খরচ হবে ৮৬২ কোটি টাকা। পরে সেই মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১২০০ কোটি টাকায়। সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্যায়নের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ করা হয়। সব মিলিয়ে নয়া ভবন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য।

গত মার্চ মাসে নবনির্মিত সংসদভবন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৪ তলা বিশিষ্ট এই সংসদ ভবনে একসঙ্গে ১২৮০ জন বসতে পারবেন। লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রেকর্ড সময়ে নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে ভবন তৈরি করা হলেও, এর পরিকাঠামোগত মান একেবারে অক্ষুন্ন। 'সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় এই নতুন সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে।

ত্রিভুজাকার এই সংসদ ভবনে রয়েছে একটি বিশাল সংবিধান হল, সাংসদদের জন্য একটি লাউঞ্জ, একটি লাইব্রেরি, একাধিক কমিটি রুম, খাবারের জায়গা এবং পর্যাপ্ত পার্কিং স্থান থাকবে। ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে এই ভবন তৈরি করা হয়েছে।


বিজেপির মিছিলে বোমাবাজি! মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

 এগরাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির মিছিলে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভগবানপুরে মিছিলে হাঁটছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এবার এই বিষয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সুকান্ত মজুমদার।
এই ঘটনার পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীশূন্য করার রাজনীতি করছেন। জেলায় জেলায় মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার, বিস্ফোরণ। এরপরেও মাননীয়া চুপ রয়েছেন। তাঁর আজ্ঞাবহ পুলিশ-প্রশাসনও চুপ রয়েছে। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের উপর খুনের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি কর্মীদের উপর বারবার আক্রমণ করছে মুখ্যমন্ত্রীর পুষে রাখা দুষ্কৃতীরা।"


তমলুকে ভেঙে পড়ল ৫০ বছরের পুরনো সেতু, ধ্বংসস্তূপে আটকে মৃত্যু শ্রমিকের, জখম ১

 মেরামতি চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ৫০ বছরের পুরনো ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা করে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। দুর্ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর শ্রমিককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার এবং স্থানীয়রা। মৃতের নাম সেখ শাহ আলম (২৬)।

স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, তমলুক পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই সেতুটি অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে মেরামতির অভাবে সেতুটি জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। সেটি মেরামত করার জন্য স্থানীয়রা বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, যেকোনও দিন সেতু ভেঙে যেতে পারে। অবশেষে গত পাঁচ দিন আগে থেকে সেতু মেরামতির কাজ শুরু হয়। বুধবার কাজ চলাকালীন ঘটে বিপত্তি। বেলা ১২ টা নাগাদ সংস্কারের কাজ চলার সময় সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। সেই সংস্কারের সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন শাহ আলম এবং নাসিরুদ্দিন। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করে উদ্ধারকারী দল। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নাসিরুদ্দিনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় শাহ আলমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে

তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা। হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব বলেন, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম দিকে জলকল মেশিন আনা হয়নি। জলকল মেশিন আনা হলে সেই ক্ষেত্রে এই বিপর্যয় ঘটত না। ইঞ্জিনিয়াররা প্রথম থেকে সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে, আরও এক শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মৃতের শ্বশুর শেখ শাহরিয়া বলেন, '৫ ঘণ্টা আটকে ছিল শাহ আলম। গোটা সময়টা ও বেঁচেই ছিল। উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার সময় ওর মৃত্যু হয়।' ঘটনার খবর পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী ঘটনাস্থলে যান। তিনি মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন।

মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড...! তাঁবুর বাইরে ছোটাছুটি...! অবশেষে অভিষেক নিলেন 'বড়' সিদ্ধান্ত

দূর্গাপুর: ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁবু। ভয়ংকর ঝড়-বৃষ্টির জেরে কার্যত স্থগিত হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক। এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ দূর্গাপুরের আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়।
শুরু হয়ে যায় বীভত্‍স ঝড় ও বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে দুইয়ের প্রকোপ।

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই চারিদিক অন্ধকার করে আসে। শুরু হয় তুমুল ঝড় ও নাগাড়ে বৃষ্টি। অবস্থা এমন হয় যে অভিষেককে তাঁবু থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় ক্যারাভানে। বাকি যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরকেও নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

অবস্থা এমন হয় যে তাঁবুর বা ক্যাম্পের বাইরে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে টেন্টের একাধিক অংশ। ভেঙে পড়ে ক্যাম্পের সীমানার অংশ। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা পরিবেশ।

এর আগেও পূর্ব বর্ধমানে এরকমই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আটকে পড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। ভাতারের কাছে রাস্তায় তাঁর কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। সেদিনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেই অভিষেকের একাধিক সভা বাতিল করে দেওয়া হয়।

এদিনও দূর্গাপুর থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়ায় অভিষেকের একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচী ছিল। সেগুলোও আদৌ সঠিক সময়ে করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Wednesday 17 May 2023

এগরা বিস্ফোরণ: ৪৮ ঘণ্টা পর মিলল সাফল্য, ওড়িশা থেকে পুলিশের জালে ভানু বাগ

ঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: এগরা বিস্ফোরণের (Egra Blast) তদন্তে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল সাফল্য। ওড়িশায় ধৃত খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ। গ্রেপ্তার হয়েছে ভানু বাগের ছেলে পৃথ্বীজিত্‍ বাগ ও ভাইপো ইন্দ্রজিত্‍ বাগ। ইন্দ্রজিতের বাবা বাদল বাগের বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ভানু কটকের এক হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পরই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চেপে চম্পট দিয়েছিলেন ভানু। পুলিশের সন্দেহ ছিল পড়শি রাজ্য ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও একই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই বুধবার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে তাঁর খোঁজ শুরু করে রাজ্য় পুলিশ ও সিআইডি। ওড়িশায় পৌঁছে যায় পুলিশের টিমও। বুধবার ভানুর ছেলে ও ভাইপোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে খবর মেলে কটকের হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন ভানু বাগ। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বিস্ফোরণে। আপাতত তাঁকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন এগরার এসডিপিও মহম্মদ বদরুজ্জামান।


বিস্ফোরণের ক্ষত টাটকা। ৯ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন আরও ৪। খাদিকুল জুড়ে একদিকে স্বজনহারাদের হাহাকার। সেই সঙ্গে প্রবল রাগ-ক্ষোভ। নিশানায় বাজি ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন বিস্তর। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় নাকি রীতিমতো জোরজুলুম চলত ভানুর। কেউ বলছেন, ভানু বাগ নন, গ্রামবাসীদের কাছে তিনি 'বাঘ'। কেউ আবার জোর করে জমি দখল করে বাজি কারখানা তৈরির অভিযোগও তুলেছেন। কিন্তু বাগ পরিবারের দাবি অন্য।

কৃ্ষ্ণপদ বাগের ভাইপোর স্ত্রী মামনির দাবি, প্রতিবেশীরা বিপদ বুঝে মিথ্যে কথা বলছে। যে জমি কেড়ে নিয়ে কারখানা করার অভিযোগ উঠছে, সেটি নাকি তাঁদের কেনা। এখানেই শেষ নয়, গতকালের পর থেকে শোনা যাচ্ছে, খাদিকুল গ্রামে বাগবাড়িতেও নাকি বিস্ফোরণ হয়েছে একাধিকবার। সেই অভিযোগও নাকি মিথ্যে। যদিও বছর ১৫ আগে বিস্ফোরণে ভানু বাগের ছোটো ভাইয়ের মৃত্যুও হয়েছে।

ব্রিজ সারায়ের সময় হঠাত্‍ করে ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে গুরুতর আহত দুইজন, চাঞ্চল্য তমলুকে।

পূর্ব মেদিনীপুর, ব্রিজ সারায়ের সময় হঠাত্‍ করে ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে গুরুতর আহত দুইজন, একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও আরেকজনকে এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, বুধবার এমনই ঘটনা ঘটলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তমলুক থানার পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকেরা,পৌছেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরাও।

দিলীপ ঘোষের বাগান তছনছ! বাংলোয় ঢুকে ভাঙচুর কুড়মিদের

 পশ্চিম মেদিনীপুর: বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) উপর অসন্তুষ্ট রয়েছে কুড়মি সমাজ (Kurmi Protest)। 'কুড়মিদের কাপড় খুলে' দেওয়া নিয়ে তাঁর বেফাঁস মন্তব্য ঘিরেই কুড়মিদের মধ্যে আরও বেশি ক্ষোভ জমা হয়েছিল। সেই ক্ষোভের প্রকাশ পাওয়া গেল বুধবার।
খড়্গপুরে দিলীপের বাংলো ঘেরাও করলেন কুড়মিরা।বাংলোর মেন গেট লাথি মেরে খুলে ফেলে। বাংলোর সামনে বাগানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। নষ্ট করে ফুলের টব। গাছ উপড়ে দেয়। তাঁদের দাবি দিলীপ ঘোষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন কুড়মি সমাজের শীর্ষ নেতা অজিত মাহাত।বিক্ষোভের সময় অজিতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, 'দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। তিনি আরএসএসের ক্যাম্পে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কুড়মি সমাজের প্রতি এ ধরনের মন্তব্য তিনি কীভাবে করতে পারলেন? দিলীপবাবুকে ক্ষমা চাইতেই হবে।'ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বামালে কুড়মি আন্দোলন চলার সময়। আন্দোলনকারীদের জন্য চাল, ডাল পাঠিয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে গিয়ে তিনি কুড়মিদের হাল হকিকত জানতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে ঘেরাও করা হয়। এরপরেই কাপড় খুলে দেওয়ার বেফাঁস মন্তব্য করেন দিলীপবাবু।এদিকে বৃহস্পতিবারই কুড়মি সমাজের রাজ্য সম্পাদক শুভেন্দু মাহাত কলকাতায় নবান্নে যান। বিকেলে চারটের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবকুমার

 সব জল্পনার অবসান। কর্নাটকের কুর্সিতে বসতে চলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। শনিবার বিপুল জয়ের তিনদিন পর শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রাজ্যের দলীয় সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে পিছনে ফেলে দিলেন সিদ্দারামাইয়া। প্রথম থেকে গররাজি হলেও অবশেষে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর পরামর্শ মেনে তিনি পেতে চলেছেন উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ।
আগামিকাল, বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সিদ্দারামাইয়া ও নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবেন। ওইদিনই নবনির্বাচিত ১৩৫ জন কংগ্রেস বিধায়কের বৈঠকে নতুন দলনেতা নির্বাচনের পরেই শপথ অনুষ্ঠান হবে।

রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ইতিমধ্যেই শপথ অনুষ্ঠানস্থল তৈরির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন এই খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর অনুগামীরা উত্‍সবে মেতে ওঠেন। বেঙ্গালুরুতে সিদ্দারামাইয়ার বাড়ির সামনে হবু মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারে দুধ ঢেলে স্নান করাতে শুরু করেন। এদিন দুই নেতাকেই ১০ জনপথে ডেকে পাঠান কংগ্রেসের সর্বময় নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। একান্ত সোনিয়া অনুগামী বলে পরিচিত শিবকুমারকে সোনিয়া আশ্বাস দিয়ে বলেন, আত্মত্যাগ এবং আনুগত্য কখনই বিফলে যেতে পারে না। তা অবশ্যই পুরস্কৃত হওয়া উচিত।

Tuesday 16 May 2023

বহু পুরস্কার, হাজারো বিতর্ক সঙ্গী করে উত্থান, এগরার 'বাজিসম্রাট'-এর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ

আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া রঙিন প্যারাডাইস, রংবেরঙের তুবড়ি, গাছবোমা, ছুঁচোবাজি, রংমশাল, হাওয়াইয়ের চোখধাঁধানো প্রদর্শনীতে বরাবরই কয়েক কদম এগিয়ে থাকতেন কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। জেলা ছাড়িয়ে তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পড়শি রাজ্যেও। ভানুর হাতের কেরামতি ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠেছিল অন্যদের কাছে।
গত তিন দশকে শতাধিক পুরস্কার প্রাপ্তির দৌলতে এগরার ভানু হয়ে উঠেছিলেন 'বাজিসম্রাট'।
কিন্তু তাঁর উত্থানে বাদ সাধল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এগরা ১ ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামে ভানুর বাজি কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। কাজ করতে করতেই প্রাণ হারান ৯ শ্রমিক। যাঁদের অধিকাংশই মহিলা। আর এই ঘটনার জেরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ভানুর নাম। কে এই ভানু? কী ভাবেই বা তাঁর এমন বাড়বাড়ন্ত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজি তৈরি করেন ভানু। তাঁর তৈরি বাজির চাহিদাও ছিল বিপুল। ভানুর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দূরদূরান্তে। ক্রমেই ভানু হয়ে ওঠেন এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ীদের অন্যতম। ২০১১ সালে রাজ্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে শাসকদলে ভানুর ওঠাবসা শুরু হয়। তবে সূত্রের খবর, রাজনীতি নিয়ে সে ভাবে মাথা ঘামাতেন না ভানু। ব্যবসাই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। প্রথমে ভানুর কারখানা ছিল গ্রামের বাড়িতে। সেখানেও বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটে। বছর পাঁচেক আগে গ্রামের বাড়ির কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ভানুর ভাই এবং তাঁর স্ত্রীর। সে বার ঘটনার পর কিছু দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন ভানু। কিছু দিনের মধ্যেই অবশ্য ফের স্বমহিমায় ফেরেন।

জনশ্রুতি, রাজনীতির ছত্রছায়ায় থাকার সুযোগে পুনরায় বাড়ি ফিরে এসে নতুন বাজি কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। কারখানায় যাওয়ার জন্য তৈরি হয় প্রায় দেড়শো মিটার পাকা রাস্তা। ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী নিয়ে নতুন করে শুরু হয় কাজ। বাজি আর মশলা রাখতে কারখানার পাশেই তৈরি হয় গোপন কুঠুরি।

বছর দু'য়েক আগে অবৈধ বাজি উদ্ধারে নেমে ভানুর কারখানাতেও অভিযান চালিয়েছিল এগরা থানার পুলিশ। সে বার বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয়েছিল ভানুকে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও বাজি ব্যবসায় নেমে পড়ে ভানু। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিতি ছিল ভানুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, শাসকদলের হাত মাথায় থাকায় ভানুকে নিয়ে আলোচনার বিশেষ পরিসরও ছিল না। তবে মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর বদলে গিয়েছে এলাকার চেহারা। হাজার হাজার মানুষ ভানুর 'জীবন নিয়ে খেলা'র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ভানুর এই কারখানায় মোট ৩০ থেকে ৩২ জন কাজ করলেও দুর্ঘটনার সময় ১৮ থেকে ২০ জন কাজ করছিলেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। যে সময় বিস্ফোরণ ঘটে সেই সময় ভানু রান্নাঘরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তাঁর হাতে চোট লেগেছে বলেও খবর। তবে বিস্ফোরণের পরেই ভানু তাঁর গোটা পরিবার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলেও খবর।

এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, 'এগরা খুবই শান্তিপূর্ণ জায়গা। সেখানে এমন ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। ২০২২-এর ১৯ অক্টোবর ভানু গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার বাজি কারখানা তৈরি করেন। রুজিরুটির কারণে কিছু মানুষ অবৈধ বাজি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েন। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য পুলিশকে সক্রিয় পদক্ষেপ করতে বলেছি।' ভানুর সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তরুণ বলেন, 'ওই ব্যক্তিকে আমি চিনি না। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মিটিং, মিছিলে কখনও দেখিনি। তিনি আগে সিপিএম করতেন বলে শুনেছি। তৃণমূল করেছেন বলে কোনও দিন শুনিনি।'

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা আজ ! সিদ্দা না শিবকুমার, শেষ বেলায় কোন অঙ্ক কংগ্রেসে?

তার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগের তদন্তে নেমেছে সিবিআই। গত সেপ্টেম্বরে বেঙ্গালুরুর গ্রামীণ জেলার কনকপুরা, ডোড্ডা আলাহল্লী এবং সন্থে কোডিহল্লীতে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শিবকুমারের মালিকানাধীন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল তারা। ডিসেম্বরে সিবিআই হানা দিয়েছিল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবকুমারের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এরই মাঝে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কর্নাটক বিধানসভা ভোটে দলের বিপুল জয়ের জন্য শিবকুমারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলার কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব। দলের প্রতি দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থারগুলির 'অতিসক্রিয়তা' শিবকুমারের বিপক্ষে যেতে পারে। আর এখানেই এগিয়ে রয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিদ্দারামাইয়া। তা ছাড়া কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রে বিধায়কদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও সিদ্দারামাইয়াকে চাইছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগস্টে কর্নাটকের তত্‍কালীন মন্ত্রী শিবকুমারের বিরুদ্ধে ৭০টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। এর পর আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের করে ইডি। ২০২০ সালে অক্টোবরে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে আন্দোলনে নামে সিবিআই।

কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্দারামাইর পক্ষে মত দিয়েছেন বলেও কংগ্রেসের ওই সূত্রের খবর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্নাটক কংগ্রেসের দুই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীই খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিকেল ৫টার সময় খড়্গের ১০ রাজাজি মার্গের বাংলোয় গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন শিবকুমার। তিনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পৌঁছন সিদ্দারামাইয়া।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, বুধবার বেঙ্গুলুরু গিয়ে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন কংগ্রেস সভাপতি। বৃহস্পতিবার শপথ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের কয়েক জন সদস্য। সিদ্দারামাইয়া চলে যাওয়ার পরে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল যান খড়্গের বাড়িতে। সেখানে ঢোকার আগে বলেন, ''শীঘ্রই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।'' এর কিছুক্ষণ পরে কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও পৌঁছন ১০ রাজাজি মার্গে।

প্রসঙ্গত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এ বার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। সহযোগী 'সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষ' জিতেছে ১ আসনে। রবিবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় খড়্গেকে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের নেতৃত্বে ৩ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের 'পছন্দ' জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে।

মুখ্যমন্ত্রিত্ব ঘিরে টানাপড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার 'অল ইন্ডিয়া বীরশৈব মহাসভা'র তরফে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে এক জন লিঙ্গায়েত নেতাকে বসানোর দাবি তোলা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি তথা প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক শামানুরু শিবশঙ্করাপ্পা বলেন, ''কর্নাটকে কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে লিঙ্গায়েতরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। দলের তরফে এ বার ৪৬ জন লিঙ্গায়েত নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ৩৭ জন জিতে এসেছেন। ২০১৮-য় জিতেছিলেন মাত্র ১৩ জন। তাই আমরা এক জন লিঙ্গায়েত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছি।'' প্রাক্তন মন্ত্রী শামানুরু নিজেকেই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন বলে কংগ্রেসের অন্দরের খবর।

TMC: তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত ২১, পুলিশ কে দৌড় করিয়ে পেটাল স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিহতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

 আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ খাদিকুল গ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৭ জনের দেহ।
আহত হন ৪ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গ্রামের রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়।

মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, হঠাত্‍ তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, বিস্ফোরণের জেরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন সাত জন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় বহু বাজি কারখানা রয়েছে, সেকথা পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা থেকে টাকা নিয়ে চুপ করে থাকে। যার জেরে বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে এলাকায়। অভিযোগ এই বাজি কারখানাগুলি চলে তৃণমূল নেতাদের ইন্ধনে। এখান থেকে মোটা লভ্যাংশ যায় তৃণমূল নেতাদের কাছে।


পুলিশকর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। বাধা অতিক্রম করে পুলিশকর্মীরা এগনোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এক সময় আইসি ও পুলিশকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে। হাতাহাতিতে এক পুলিশকর্মীর মাথায় চোট লেগেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি না দিলে দেহ উদ্ধার করতে দেবে না স্থানীয়রা।


এগরায় বিস্ফোরণ: মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার, তদন্ত করবে সিআইডি

  মঙ্গলবার ভরদুপুরে এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Egra Blast) মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আহত অন্তত ৭ জন। হাসপাতালে চিকিত্‍সা চলছে তাঁদের। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং গুরুতর আহতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি (CM announces compensation in Egra)।এগরার ঘটনা জানার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'ওরা এনআইএ চাক না, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।' ইতিমধ্যেই তিনি ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জনিয়েছেন।ওই বাজি কারখানাটির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটি একটি বেআইনি বাজি কারখানা যার মালিক কৃষ্ণপদ বাগকে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি তুলেছে, কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূল কর্মী। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, তৃণমূলের লোক হলে গতবার কালীপুজোর সময় রাজ্য পুলিশ কেন গ্রেফতার করল ওঁকে?ইতিমধ্যেই সিআইএফ-এর এডিজি জ্ঞানবন্ত সিংকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, 'ওটা ওড়িশার বর্ডার। ওই পঞ্চায়েত বিজেপির। ওদের দেখা উচিত ছিল। দু'মাস আগে নির্দলকে সভাপতি রেখে বিজেপি পঞ্চায়েত করেছে। মালিক পালিয়েছে ওড়িশায়। আমরা টেনে আনব।' আইসিকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন মমতা।আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাবেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। আগামীকালও রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিদের একটি দল এগরার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাবেন।

এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে একাধিক দেহ

এগরা: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা (Egra)। একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহ। বাজি কারখানার আড়ালে কি বোমা তৈরি হচ্ছিল? ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে একইভাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল।

আবারও তার পুনরাবৃত্তি হল এগরায়।

সূত্রের খবর, এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ, অবৈধভাবেই বাজি প্রস্তুত হচ্ছিল ওই কারখানায়। বাজি তৈরির বিপুল মশলা মজুত থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত ভোট সেই কারণে প্রশ্ন উঠেছে এটি অবৈধ বাজি কারখানা নাকি বৈধ কারখানা নাকি বাজি কারখানার আড়ালেই চলছিল বোমা বাধার কাজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি. বাজি কারখানা ছিল বলেই খবর পেয়েছি। পুলিশ আগেই তল্লাশি করে বন্ধ করেছিল। তারপরও লুকিয়ে চলছিল। কতজন মারা গিয়েছেন এখন বলতে পারব না। খুবই খারাপ লাগছে। প্রশাসনকে বলব কড়া হাতে দমন করতে। আমি বিধায়ক হওয়ার পর এই প্রথম এই ঘটনা। আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। পুলিশও টহলদারি করেছে। কিন্তু গোপনে হয়ত চলছিল।” স্থানীয় বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, “এর আগে এগরাতে আরবিসি অঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। সেটাকে বাজি বিস্ফোরণ বলে চালিয়েছেন। আজ এগারাতে বিস্ফোরণ হল। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি উঠে যাচ্ছে। সেই কারণে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা চাই এনআইএ তদন্ত করুন। এরপর তৃণমূল নেতা আর পুলিশ বলবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে।”

এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ঝলসে মৃত ৩, দগ্ধ আরও কয়েকজন

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মারাত্মক বিস্ফোরণে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে একটি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ওই বাড়িটিতেই বাজি তৈরির কারখানা ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল গ্রাম। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। মুহূর্তে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বাড়ি ছেড়ে সবাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন। পড়ে দেখা যায়, এলাকারই একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়রা দেখেন সেখানে বেশ কয়েকটি দেহ ও দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান অনেকে।

যে বাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটিরও কাঠামো ছাড়া বাকি সবটাই কার্যত উড়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ওই বাড়িটির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়েছে। খবর পেয়ে দমকল ও পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় আরও ৫ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাজি কারখানা থাকলেও তাদের উপর পুলিশের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানে কোন ধরনের বাজি তৈরি হচ্ছে সেপব্যাপারেও নজরদারি চালানো হয় না। এদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

Monday 15 May 2023

ব্যাগে মৃত শিশু নিয়ে বাবা, রিপোর্ট চাইল ক্ষুব্ধ নবান্ন

 কালিয়াগঞ্জের দিনমজুরের মৃত শিশুকে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ব্যাগে করে বাড়ি ফেরার ঘটনায় ক্ষব্ধ নবান্ন। রবিবারের সেই ঘটনা জানতে পেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। এ বার রিপোর্ট তলব করল উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। নিয়ম মতো ওই রিপোর্টের একটি কপি পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকে।
রবিবার এই ঘটনায় ষোরগোল ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য-রাজনীতিতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে কটাক্ষ করেন রাজ্য সরকারকে। যদিও তৃণমূল এই ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেন। সোমবার কড়া পদক্ষেপ করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।
কেন এমন ঘটনা ঘটল, শিশু মৃত্যুর পর কেন অভাবী পরিবারকে দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হল না হাসপাতালের তরফে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই ঘটনার জন্য নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা।


এদিকে এই ঘটনায় দায় এড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, অন্যদিকে, তীব্র ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে গোটা ঘটনায় সম্পুর্ন দায় এড়িয়ে গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ওই দিনমজুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানায়নি। কোনও অভিযোগও করেনি। অভিযোগ হলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হত। একই কথা শোনা গেল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেবের মুখেও। তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ওই রোগীর পরিবার হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্র বা ওয়ার্ড মাস্টার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যোগাযোগ করলে নিশ্চয়ই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হত। তবে ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান হাসপাতালের আধিকারিকরা।

রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বাড় ভগবানপুরে।

এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের বাড় ভগবানপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় । জানা গিয়েছে ওই মৃত ব্যক্তির নাম,নিতাই ঘড়া। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বাড়ি ওই বাড় ভগবানপুর গ্রামে।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভগবানপুর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। খুন না অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ, অন্যদিকে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

প্রেমিকার গোপন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি! গ্রেফতার দিলীপ ঘোষের ভাইপো

প্রেমিকার গোপন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি এবং বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভাইপোকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। দিলীপ ঘোষের ছোট ভাই হীরক ঘোষের ছেলে অরিন্দম ঘোষ (২৩)-কে শনিবার গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী।ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপ ঘোষের বসতবাড়ি । সেইখানেই সপরিবারে বসবাস করেন দিলীপ ঘোষের ভাই হীরক ঘোষ । তাঁরই ছেলে অভিযুক্ত অরিন্দম ঘোষ। জানা গিয়েছে, গ্র্যাজুয়েশন পাশ করার পর একটি বেসরকারি সংস্থায় সদ্য কাজে নিযুক্ত হয়েছিল সে।

তার সঙ্গে এক তরুণীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি। তবে তাকে হেনস্থা করার অভিযোগেই গ্রেফতার দিলীপ ঘোষের ভাইপো অরিন্দম ঘোষ।

জানা গিয়েছে, বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত এক যুবতী শনিবার ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অরিন্দমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায় । সাইবার ক্রাইমের ডিএসপি সব্যসাচী ঘোষ বলেন, "এক যুবতী অরিন্দমের বিরুদ্ধে ওই যুবতীর গোপন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি এবং কয়েকবার বিয়ে ভাঙার অভিযোগ তুলে একটি লিখিত অভিযোগ করে । সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অরিন্দমকে ।"

Sunday 14 May 2023

পাশে আছি, কর্মীদের বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর

সবসময় তিনি দলের কর্মীদের পাশেই রয়েছেন। রবিবার পটাশপুরে সভা থেকে সেই বার্তাই দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর রবিবার পটাশপুরের মতিরামপুর থেকে দাইতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
মিছিল শেষে দাইতলা বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের কর্মীদের সঙ্গে এ দিন মিছিলে পা মেলান শুভেন্দু। মিছিলে অবশ্য গত রবিবারের কর্মসূচির তুলনায় ভিড় ছিল যথেষ্ট।

প্রসঙ্গত, ময়নার বাকচায় বিজেপি নেতা বিজয় ভুঁইয়ার খুনের প্রতিবাদে কয়েক দিন আগে পটাশপুরে অবরোধ কর্মসূচি করে বিজেপি। সেসময় বিজেপির দুই নেতাকে মারধর এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে গত রবিবার পটাশপুরে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে পুলিশ। যদিও পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও সেদিন মিছিল করেছিলেন তিনি। তারপর এদিন পুনরায় মিছিল করার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মোহনলাল শী এবং কৃষ্ণগোপাল দাস এখনও জেলহাজতে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, ''ওদের জামিনের চেষ্টা চলছে। তাপস মাজির উপর আট বার হামলা হয়েছে। তিনিও হাইকোর্টে মামলা করেছেন।'' এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিক্ষোভ সভার আয়োজন নিয়ে ফের পুলিশকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি কটাক্ষ করেন, ''মমতার পুলিশ আমাদের কর্মসূচি হলো তো! দেখ কেমন লাগছে। মমতা পুলিশ বেশি দিন নেই।" সভায় মিনিট পাঁচেক বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানে কর্নাটক বিধানসভা ভোটে ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ''এত লাফানোর কিছু নেই কর্নাটকে। গত দেড় বছরে এগারোটা রাজ্য ভোট হয়েছে। ৮টায় মোদি-যোগী। আগলি বার মোদিজী চারশো পার। তার আগে পঞ্চায়েতে লড়ে দেখে নেব বুঝে নেব।''

গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে পটাশপুর। দলের আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুভেন্দু ঘোষণা করেন, ''আমি আবার সিংদায় সভা করব। বড়হাটে যাওয়া বাকি ছিল সেখানেও যাব। আমি যাহা বলি ভাবিয়া বলি। যাহা বলি তাহা করিয়া দেখাই।'' পঞ্চায়েত ভোটে দলের কর্মীদের লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ''বাংলার পরিবর্তন হবে তো! পঞ্চায়েত থেকে শুরু করতে হবে। জোর লড়াই করতে হবে।''

পরে ফের পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু,"এখানকার বড় মাতব্বর কুন্ডু না হান্ডু রয়েছে। ওই বাচ্চা ছেলে। অনেক কম বয়স। এত বাড়াবাড়ি কোরো না। ওর হেড ক্র্যাক আছে। এ কোনওদিন না কালিয়াগঞ্জের মতো অবস্থা করে ছেড়ে দেয়। মাথা ঠান্ডা করে ভাই চল। অমরনাথের কথা শুনে বেশি চলবি না। কারণ অমরনাথ পিসি ও ভাইপোর কথায় চলে। আমরা এখানে সরকার করে দেখাব।''

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ''আমার স্লোগান ধার নিয়ে বলেছে কর্নাটকে নো ভোট টু বিজেপি। আরে পশ্চিমবঙ্গের লোক তো প্রস্তুত হয়ে গেছে নো ভোট টু মমতা করার জন্য।''

এক সময় মঞ্চের সিঁড়িতেই বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। কর্মী-সমর্থকদের সাবধানে বাড়ি যাওয়ার তদারকি করেন শুভেন্দু। দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ''আমি এখানে ২০ মিনিট আছি। সাবধানে বাড়ি ফিরুন।'' কখনও বুকে হাত ঠুকে দলের কর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিন বিজেপির কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

''শীঘ্রই কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে''

 কংগ্রেস নেতা এবং কর্ণাটকের অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) দায়িত্বে থাকা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা রবিবার গভীর রাতে বলেছেন যে দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে খুব বেশি সময় নেবেন না এবং শীঘ্রই কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন।

কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকের পর সুরজেওয়ালা বলেন, "দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে।
কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "বিজয়ী দল প্রথম মন্ত্রিসভায় থাকবে যখন আমরা আমাদের প্রথম পাঁচটি গ্যারান্টি বাস্তবায়ন করব। কংগ্রেস লেজিসলেটিভ পার্টি (সিএলপি) সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব পাস করার পরে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।" প্রস্তাবে বলা হয়েছে, "কংগ্রেস আইনসভা দল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এআইসিসি সভাপতি কংগ্রেস আইনসভা দলের নতুন নেতা নিয়োগের জন্য অনুমোদিত।"

Saturday 13 May 2023

ইস্টবেঙ্গল আজীবন সদস্যপদ দিল সলমনকে, প্রিয় জার্সি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভাইজান

  ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ক্লাব মাঠে মেগা মিউজিক্যাল ডান্স শোয়ে সুপারস্টার সলমন খানকে (Salman Khan) সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তারা ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ তুলে দিয়েছে মেগা তারকাকে। লাল হলুদ উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এমনকী সলমনের প্রিয় ২৭ নম্বর জার্সিও দেওয়া হয়েছে জাঁকজমক অনুষ্ঠানে।সুপারস্টার সলমন খানের নেতৃত্বে সোনাক্ষী সিনহা, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, প্রভু দেবা, গুরু রনধাওয়া, আয়ুষ শর্মা, পূজা হেগড়ে, কামাল খান সহ আরও অনেকে এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন। সলমন পারফর্ম করছেন ইস্টবেঙ্গল মাঠে।লাল হলুদ উত্তরীয়, বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা ক্লাবের শতবর্ষের কয়েন, সলমনের পছন্দের জার্সি দেওয়া হয়েছে। বক্তব্যে ভাইজান বারবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা।ক্লাবের সহ সচিব রূপক সাহা, কার্যকরি সমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার, ডাঃ শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত, রজত গুহ, সদানন্দ মুখার্জি, দীপঙ্কর চক্রবর্তী সহ আরও বহু কর্তা হাজির ছিলেন। 

১৩ মে : বেদনার দিন! বিশেষ পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর

 ১৩ মে দিনটি বিজেপি কর্মীদের কাছে অত্যন্ত বেদনার! ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে এমনই লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসায় আজকের দিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম বিধানসভার চিল্লগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি। ২ বছর পরেও দিনটিকে মনে রেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ওনার আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওনাকে স্মরণ করলেন তিনি।


Friday 12 May 2023

ক্ষতিপূরণের রাজনীতি! চাপানউতোর নন্দীগ্রামে পথ দুর্ঘটনায়

পথ দুর্ঘটনায় দিন'দুয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। ওই মৃত্যু এবং আহতদের নিয়ে নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বলে দাবি। দুর্ঘটনার পরেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তার পরে কখনও আহতের কাছে হাজির হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, তো কখনও ক্ষতিপূরণ দিতে শুক্রবার দুপুরে হাজির হয়েছেন খোদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, আর বিকালে পৌঁছেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এসব যা দেখে জেলা রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং দুর্ঘটনাস্থল নন্দীগ্রাম বলেই কি এবার এত তত্‍পরত! তারা জানতে চায়, জেলায় অন্য দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের পাশে এ ভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দেখা যায় না কেন?
গত ১০ মে নন্দীগ্রামে ঠাকুরচকে নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কে বাস-ট্রেকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু' জনের মৃত্যু হয়।ওই ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এ দিন মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি মোট ৩৯ জনকে হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন। মৃতের পরিবারের সদস্যদের আড়াই লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেন মন্ত্রী ফিরহাদ। আর ১১ জন গুরুতর আহতদের হাতে ৫০ হাজার টাকা এবং অপেক্ষাকৃত কম আহতদের হাতে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, নন্দীগ্রাম-২ এর বিডিও অখিলেশ সাহা। উল্লেখ্য, তমলুক হাসপাতালে আহতদের দেখতে দুর্ঘটনার রাতেই গিয়েছিলেন সৌমেন। 

তৃণমূল নেতৃত্ব ফিরে যাওয়ার পরে বিকালে নন্দীগ্রামে হরিপুরে এক মৃত যুবকের বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রের খবর, মৃতের পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা সাহায্য করেছেন স্থানীয় বিধায়ক। পাশাপাশি, পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, "বিধায়ক মৃত পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা সাহায্য করেছেন। ''
এভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের শুধু এই দুর্ঘটনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ ঘিরে প্রশ্ন করছে রাজনৈতক মহল। তারা মনে করাচ্ছে, জেলার দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে হামেশাই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। গত ২৫ এপ্রিলও মারিশদায় আলু বোঝাই লরির সঙ্গে ঢালাই মেশিন বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে লরি চালকের মৃত্যু হয়েছে। তখন কেন ক্ষতিপূরণ দিতে এত তত্‍পরতা দেখা যায়নি? রাজনৈতিক মহলদের একাংশের অভিমত, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং জায়গাটি নন্দীগ্রাম বলেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ে বিভিন্ন নেতাদের এভাবে পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পরিতোষ পট্টনায়েক বলছেন, ''যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। মৃতের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাক, এটাতে আপত্তি থাকা উচিত নয়। কিন্তু এই মৃত্যু নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয়, সেটাও দেখা উচিত।'' যদিও তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী সব সময় মানবিক। আহতদের পাশে থাকেন।''

Sameer Wankhede : শাহরুখের ছেলেকে গ্রেফতার করা প্রাক্তন অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

 নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) প্রাক্তন অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede) বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI)। দুর্নীতির মামলায় তার বাসভবনেও অভিযান চালাচ্ছে তদন্ত সংস্থা। সমীর ওয়াংখেড়ে কর্ডেলিয়া ক্রুজে অভিযান চালিয়ে শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করেছিলেন।

Thursday 11 May 2023

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে সংশোধনাগারে গিয়ে স্বামীর 'খুনি'দের চিহ্নিত করলেন নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী

কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘেরাটোপে তমলুক সংশোধনাগারে গিয়ে স্বামীর 'খুনি'দের চিহ্নিত করলেন ময়নার নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ পুলিশ আধিকারিকদের সামনে স্বামীর ৩ খুনিকে চিহ্নিত করেছেন তিনি। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে লক্ষ্মী বলেন, 'আমার চোখের সামনে থেকে স্বামী বিজয় ভুঁইয়াকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে যারা খুন করেছিল, তাদের মধ্যে ৩ খুনিকে চিনিয়ে দিয়েছি।

বিজয়কৃষ্ণের পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁকে স্ত্রী এবং ছেলের সামনে থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। আরও অভিযোগ, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী এবং ছেলে সুরজিত্‍। পরে বিজয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছে পুকুরপাড় থেকে। সেই ঘটনা তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দফায় দফায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, এসডিপিও সাকিব আহমেদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে তমলুকের সংশোধনাগারে যান লক্ষ্মী ও তাঁর ছেলে। তবে টিআই প্যারেডের সময় শুধু লক্ষ্মীকেই সংশধনাগারের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। বেলা প্রায় সাড়ে ৩টে নাগাদ সময় লক্ষ্মীকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বেশ কিছু সময় পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের তিনি বলেন, 'আমার সামনে অনেকগুলো লোককে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বামীর খুনিদের কাঁধে হাত দিয়ে চিনিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। আমি ওই লোকগুলোর মধ্যে থেকে ৩ জন খুনিকে চিনিয়ে দিয়েছি।

Wednesday 10 May 2023

মাধ্যমিকের রেজাল্টে বিরাট বদল! কী সেই পরিবর্তন? পড়ুয়া-অভিভাবকরা জানুন দ্রুত

আর দিন কয়েক পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ৭৫ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হতে চলেছে। আগামী ১৯ মে সকালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে এবার ফল প্রকাশ প্রক্রিয়ায় বড়সড় বদল আনা হচ্ছে। কী সেই বদল?
আগামী ১৯ মে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে চলেছে। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ফল প্রকাশ প্রক্রিয়ায় খানিকটা বদল আনা হচ্ছে। প্রতিবার ফল প্রকাশের দিন সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যেত পর্ষদকে। তারপর বেলা ১০টা থেকে ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফল দেখতে পেতেন পড়ুয়ারা। এবার ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফল দেখার সময়ে বদল আনা হচ্ছে। অর্থাত্‍, এক্ষেত্রে আরও একটু বাড়তি সময় অপেক্ষা করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।

জানা গিয়েছে, এতদিন সকাল ১০টা থেকে ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফল দেখতে পেতেন পড়ুয়ারা। এবার বেলা ১০টার বদলে বেলা ১২টা থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেখা যাবে মাধ্যমিকের ফল। অর্থাত্‍ ওয়েবসাইটে ফল দেখার জন্য পড়ুয়াদের আরও খানিকটা সময় অপেক্ষা করে থাকতে হবে।

গত বছরের চেয়ে আরও কম সময়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে চলেছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ৭৫ দিনের মাথায় প্রকাশিত হতে চলেছে ফল। গত বছর পরীক্ষার ৭৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।

সিভিকদের প্রমোশন: রেশন ও মেডিক্যাল বাবদ ২০০০ টাকা!

খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী হোম গার্ড বা রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রমোশন হলে তাঁদের বেতন ৯ হাজার টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ২৩ হাজার টাকা হতে পারে। তার মধ্যে মূল বেতনের ১২ শতাংশ হাউসিং অ্যালাউয়েন্স পাবেন সিভিকরা। তাঁদের রেশন বাবদ প্রতিমাসে বাড়তি ১৫০০ টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফে।
মেডিক্যাল বাবদ প্রতি মাসে বাড়তি ৫০০ টাকা (মোট ২০০০ টাকা) করে দেওয়া হবে।

নন্দীগ্রামে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ জনের, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল সরকার

 পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে পথ দুর্ঘটনা প্রাণ হারিয়েছেন দু'জন (Two people died in a road accident in Nandigram)। বাস ও ট্রেকারে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতের পরিবারদের আড়াই লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ার ঠাকুর চক এলাকায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি ট্রেকারের। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ট্রেকারের চালক থেকে যাত্রী সকলেই। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সৌম্যদীপ জানা নামে এক বছর ১৭ কিশোরের মৃত্যু হয়। জানা গেছে, সৌম্যদীপের বাড়ি নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকের শ্রীগৌরী এলাকায়।ট্রেকারের চালক সঞ্জয় বাগকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। সঞ্জয়ের বাড়ি চন্ডিপুর ব্লকের এড়াসাল এলাকায়।রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে জানানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি এই আর্থিক সাহায্যের কথা জানান।
অপরদিকে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন।

তৃণমূল করার অপরাধে শুভেন্দুর বিধানসভায় নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় পানীয় জল বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় ধরনা মহিলাদের

তাদের একমাত্র অপরাধ একুশের বিধানসভা  (Nandigram Assembly Election 2021 ) নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিয়েছিলেন। এ...